স্পোর্টস ডেস্ক:: এখন পর্যন্ত ৩ ম্যাচ খেলে ২টিতে জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। দুই জয়েরই নায়ক শহীদ আফ্রিদি। ভাগ্যিস তিনি ছিলেন নতুবা কাঙ্ক্ষিত জয় দুটি হয়তো পাওয়া হতো না ভিক্টোরিয়ানসের। এজন্য তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকতেই হচ্ছে কুমিল্লাকে।
না থেকে উপায় কী? যেমন গেল শুক্রবার রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে হাঁটুর ব্যথা নিয়ে খেলেছেন আফ্রিদি। একটু এদিক-ওদিক হলেই গুরুতর ইনজুরিতে পড়তে পারতেন। এ ঝুঁকি নিয়ে খেলেও দলকে জিতিয়েছেন তিনি।
এদিন বল হাতে বেশি বিধ্বংসী ছিলেন আফ্রিদি। ৪ ওভার বল করে ১ মেডেনসহ নিয়েছেন মূল্যবান ৩ উইকেট। খরচ করেছেন মাত্র ১০ রান। এর মধ্যে আদায় করে নিয়েছেন ১৭টি ডট। মূলত তার ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হয়ে ধস নামে রাজশাহীর ইনিংসে। পুরো লাগাম ধরে রাখেন তিনি।
ব্যাটিংয়েও আফ্রিদির জবাব পায়নি বরেন্দ্রভূমির দলটি। ছক্কা মেরে ম্যাচ জেতান। শেষ পর্যন্ত ৫ বল খেলে ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। হার না মানা ইনিংস খেলেই বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন তিনি। দুর্দান্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আফ্রিদি বলেন, আজ ব্যথা নিয়ে খেলেছি। তবে বোলিংয়ে তা কোনো সমস্যায় ফেলেনি। ভয়ে ছিলাম ব্যাটিং নিয়ে। সেটাও ভালোভাবে উতরে গেছি। সর্বোপরি, উইকেটে কোনো সমস্যা ছিল না। এটা ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ছিল।
বুমবুমখ্যাত ক্রিকেটারেরই অনবদ্য পারফরম্যান্সেই আসরে প্রথম জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে বোলিংয়ে ১ উইকেট এবং ২৫ বলে ৩৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে দলকে গুরুত্বপূণ দুই পয়েন্ট এনে দেন তিনি। সব মিলিয়ে বলা যায়, এবারের বিপিএলে নিজেকে ঢেলে দিচ্ছেন ৩৮ বছর বয়সী পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।