মেহজাবিন রশীদ চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক :: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার প্রয়াত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর স্ত্রী মেহজাবিন রশীদ চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বাদ এশা হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দরগাহ গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযার ইমামতি করেন হযরত শাহজালাল র. দরগাহ মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা আসজদ।

এর আগে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় মাহজাবিন চৌধুরীর লাশ হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়। ওসমানী বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিশিষ্ট চা-কর আফজাল রশীদ চৌধুরী, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমানসহ পদস্থ কর্মকর্তারা তার লাশ গ্রহণ করেন। লাশের সাথে প্রয়াতের নাতি মিশাল করিম ও মাশহুন চৌধুরী এবং নাতনী মৃণাল চৌধুরী, মিসেস নোমান রশীদ চৌধুরী, কামাল উদ্দিন মোল্লা সিলেটে এসেছেন।

হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারী এ এইচ মালিক ইমন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় মেহজাবিন চৌধুরীর লাশ হেলিকপ্টারযোগে সিলেটে নিয়ে আসা হয়। বাদ এশা দরগাহ প্রাঙ্গণে স্বামীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

নামাজে জানাযায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট-১ আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীয়ত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ড. এ কে আবদুল মোমেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, বিশিষ্ট চা-কর ইমরান রশীদ চৌধুরী, হেরল্ড রশীদ চৌধুরী, ডা. হারুন রশীদ চৌধুরী, ফাহমি মুরসালীন রশীদ চৌধুরী, কামাল উদ্দিন মোল্লা প্রমুখ।

গত বৃহস্পতিবার ভোরে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মেহজাবিন চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। শনিবার জোহরের নামাজের পর ঢাকার ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মেহজাবিন চৌধুরী ১৯৩৩ সালের ১১ নভেম্বর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিল্প, সাহিত্য, ভ্রমণ ভালোবাসতেন। প্রয়াত নোমান চৌধুরী এবং প্রয়াত নাসরীন চৌধুরী ছিলেন তার দুই সন্তান। মেহজাবিন চৌধুরীর স্বজনদের মধ্যে ছেলে নোমান চৌধুরীর স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরী এবং তিনজন নাতি-নাতনি রয়েছে।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মেহজাবিন চৌধুরীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর শত প্রতিকূলতার মধ্যেও জাতির পিতার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে আশ্রয় দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছিলেন সে সময় কূটনেতিক দায়িত্বে থাকা হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ও মেহজাবিন চৌধুরী।

মেহজাবিন চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

তার মৃত্যুর খবর শুনে বৃহস্পতিবার সকালে তার লালমাটিয়ার বাসায় যান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তারা শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান এবং তাদের সমবেদনা জানান। প্রধানমন্ত্রী শোকবার্তায় মেহজাবিন চৌধুরীর আত্মার শান্তি কামনা করেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *