নিউজ ডেস্ক:: ঘূর্ণিঝড় ফেথাইয়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর এখন উত্তাল। ভারতের আন্দামান সাগরের নিম্নচাপ থেকে তৈরি হওয়া এ ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে এসে আরও শক্তি সঞ্চয় করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।
তবে ফেথাই বাংলাদেশের দিকে আসার তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরের পর ঘূর্ণিঝড় ফেথাই এর প্রভাবে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রাও কমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
তিনি জানান, এই ঝড়ের প্রভাবে আগামী দুই থেকে তিনদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায়। এই বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রাও কমে যাবে। শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে।