আমরা আতঙ্কিত দেশে গণতন্ত্র টিকে থাকবে কি না : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আজ আতঙ্কিত এ দেশে গণতন্ত্র টিকে থাকবে কি না। আজ যে নির্বাচন কমিশন আছে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে কি না।

তিনি বলেন, সরকার নির্লজ্জভাবে বিরোধী দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছে। এ নির্বাচন আমাদের দেশের জনগণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে এ দেশে গণতন্ত্র থাকবে কি না, জনগণের বাকস্বাধীনতা থাকবে কি না, আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবে কি না।

রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে র্যালি উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, সরকার নজিরবিহীনভাবে আমাদের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের ওপর হামলা করছে। আপনারা যতই হামলা-মামলা করেন জনগণকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে পারবেন না।

তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, গ্রেফতার বন্ধ করুন না হলে সব দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। জনগণের ওপর নির্যাতনের দায় আপনাদের নিতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আজ বিজয়ের দিন, আর আমরা লড়াইয়ে আছি। সেটি হলো ভোটের লড়াই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একটা পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে।

তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে যত নির্বাচন হয়েছে সবগুলো নির্বাচন তারা ছিনতাই করেছে। এবারও ভাবছে তারা ৫ জানুয়ারির মতো পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার সরকারকে আর ওয়াকওভার দেব না। খালিমাঠে গোল দিতে দেব না।

মান্না বলেন, আমরা যখন নির্বাচনে যাব ঘোষণা দিলাম তখনই আমাদের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে। আমাদের প্রার্থীদের হামলা করছে প্রচারণা চালাতে দিছে না।

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা আবার ক্ষমতায় থাকার জন্য পুলিশ বাহিনীকে দলীয় বাহিমীর মতো ব্যবহার করছে। সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের হামলা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জনগণ ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষে ভোট দিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বিজয়ী করবে। এটা বিজয় দিবসে আমাদের আহ্বান দেশের জনগণের কাছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *