ফেসবুক ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখার নির্দেশ ইসির

নিউজ ডেস্ক:: নির্বাচনকেন্দ্রিক গুজব বন্ধে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

২৬ নভেম্বর, সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনে এ তথ্য জানান ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
এর আগে বিকেলে বিটিআরসি, এনটিএমসি ও সব মোবাইল অপারেটরের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। বৈঠকে তাদেরকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্বাচনের সময় নির্বাচন ভবনসহ সারা দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট নিরবচ্ছিন্ন রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয় বৈঠকে।

এ বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনো প্রকার গুজব বা প্রপাগাণ্ডা, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বা নির্বাচনকে বানচাল করার জিনিসগুলো প্রতিরোধ করতে আমরা ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করব।

সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করার জন্য সরকারের যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, তাদেরকে আমরা অনুরোধ করেছি। তারা আমাদের বলেছেন, ফেসবুক ব্যবহার করে যারা এসব করে, তাদের ফেসবুক নজরদারিতে থাকবে। যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিদ্যমান আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কমিশনকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘অবশ্যই, যেহেতু নির্বাচনের তফসিল হয়ে গেছে, তফসিলের পরপরই সবকিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেই ব্যবস্থা নিতে হবে।’

মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখার বিষয়ে সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আজকে আমাদের যে সভা হয়েছে, সেখানে কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক নম্বর হচ্ছে, আমাদের নির্বাচন ভবনে সব কোম্পানি মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রদান করবে। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক পূর্ণ মাত্রায় থাকবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের ভবনে পূর্ণ নেটওয়ার্ক যেন সার্বক্ষণিক থাকে এবং একইভাবে জেলা-উপজেলাগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্কের ফুল স্পিড যেন থাকে এবং ইন্টারনেটের ফুল কাভারেজ থাকে, সে জন্য মোবাইল কোম্পানিগুলোকে আমরা অনুরোধ করেছি।’

তফসিল ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসব প্রচার শুরু হয়, সেগুলোকে কীভাবে দেখছেন? এর উত্তরে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা চাই যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার অপপ্রচার যাতে না হয়।’

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *