দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজদের নির্বাচিত করবে না: দুদক চেয়ারম্যান

নিউজ ডেস্ক:: আসন্ন সংসদ নির্বাচনে কোনো দুর্নীতিবাজকে দেশের মানুষ নির্বাচিত করবে না বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

নির্বাচনী হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার দুপুরে দুদক কার্যালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপন করলে তাকে চিহ্নিত করা কঠিন কিছু নয়। প্রার্থীদের হলফনামা জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত বা অনুসন্ধান চলমান রয়েছে তারা নির্বাচন করতে পারবের কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন করার সঙ্গে তদন্তের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে যারা দণ্ডিত আসামি তাদের নির্বাচন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিলেনিয়াম চ্যালেঞ্জ কর্পোরেশনের (এমসিসি) মূল্যায়নে চার ধাপ অবনতি ঘটেছে বাংলাদেশের। সংস্থাটির প্রকাশ করা চার্ট-২০১৯ এ দুর্নীতিসহ ১১ সূচকে রেড জোনে আছে বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৭ সালে আমরা সবুজ জোনে ছিলাম। কিসের ভিত্তিতে ওই সংস্থাটির জরিপে রেড জোনে আসল বাংলাদেশ সেটাও আমার প্রশ্ন।

তিনি আরও বলেন, তাদের (এমসিসি) মূল্যায়নে দুর্নীতির ঘাটতির কম বলা হয়েছে। তবে আমি বলব, কেন আমরা রেড জোনে পড়লাম তা খতিয়ে দেখব।

কীভাবে গ্রিন জোনে যাওয়া যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুইয়া সম্প্রতি এনবিআরের দুর্নীতির উৎস সংক্রান্ত দুদকের সুপারিশের বিষয়ে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নেরে উত্তরে বলেছিলেন, ‘তদন্ত করলে দুদকেরও দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে।’

এনবিআর চেয়ারম্যানের ওই বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমি কারো মন্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না। আমলা হোক বা যেই হোক জেনে বুঝে মন্তব্য করা উচিৎ।তবে এটুকু বলতে চাই-আমরা দুর্নীতি চিহ্নিত করে সরকারের কাছে রিপোর্ট দেই তা নির্মূল করার জন্য। আমরা কাউকে টার্গেট করে প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করি না।’

তিনি বলেন, এ প্রতিবদেনকে ইতিবাচকভাবে না নেয়া হলে বুঝতে হবে আমরা সত্যকে অস্বীকার করছি।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের সুপারিশের মধ্যে সব সত্য তাও বলছি না। আমাদের প্রতিপক্ষ ভাবলে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ হবে না। দুদকের একার পক্ষেও দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয়।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, তবে এটাও সত্য যে, আমরা স্বীকার করছি-দদুকে সমস্যা আছে। দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধ করার ব্যবস্থা করছি। কারণ দুদক ধোয়া তুলসিপাতা নয়। এ কারণে অনেকের চাকরি গেছে। এখান থেকে অনেককেই বদলি করা হয়েছে। দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এনবিআর কার্যালয়ে দুদকের অফিস স্থাপন করা হবে সুপারিশে এমন বিষয় ছিল কিনা তার জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, এটা হাস্যকর। কেউ কি মনোবিজ্ঞানী যে, আমার মনের কথা বুঝতে পারবে, আমি কী ভাবছি?

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারি সব দফতর ও সংস্থাকে দুদককে সহযোগিতা করতে হবে। শুধু মামলা করে দুর্নীতি নির্মূল সম্ভব নয়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *