নিউজ ডেস্ক:: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানী ৩রা জানুয়ারী। আজ আংশিক শুনানী নিয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল কবির এ দিন ধার্য করেন। আদালতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়া নির্বাচনের জন্য শুনানি পেছাতে সময়ের আর্জি জানান।
আদলতে খালেদা জিয়া বলেন, একদল নির্বাচন করবে আর আমরা আদালতে আসবে, এটা তো হতে পারে না। তিনি বলেন, যেহেতু এখন সবাই মাঠে নির্বাচনের কাজ করছে, কেউ আমার জন্য, কেউ তার জন্য। যেখানে ইলেকশন নিয়ে সবাই ব্যস্ত, সেখানে আমাদের আদালতে আটকে রাখা হয়েছে। অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আমাদের এগুলি (নির্বাচনী কাজ) করতে হচ্ছে। তারপরও যদি আমাদের কোর্টের মধ্যেই আটকে রাখা হয়, তাহলে বলে দিক, নির্বাচন করো না।
মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেয়ার আবেদন জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, যেহেতু সামনে নির্বাচন, সকলেই যে যার মতো এলাকায় চলে যাবে, কেউ আসতে পারবে না, আমি নিজেও আসতে পারবো না। এখানে আসা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। আপনি দেড় মাস সময় দেন, না হলে সম্ভব না।
খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের মামলাগগুলো কেনো দ্রুত বিচারে করা হচ্ছে। এর আগে কয়টা মামলায় দ্রুত বিচার হয়েছে? নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডার মামলায়ও দ্রুত বিচার হয়নি। কিসের জন্য আমাদের মামলা দ্রুত বিচার করা হয়? এছাড়া আদালতের পরিবশে ও নিরাপত্তার কড়াকড়ি নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন বিএনটি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবি ছিলেন, আডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার,। মামলার আরেক অভিযুক্ত মওদুদ আহমদ নিজেই শুনানি করেন।