বিএনপির নেতৃত্বে জোবাইদা রহমান আসছেন!

নিউজ ডেস্ক:: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে আসছেন। তাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। সম্প্রতি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যেষ্ঠ কয়েক নেতার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। দলের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বরচন্দ্র রায় বলেন, দল কীভাবে চলবে, তা নির্ধারণ করবেন আমাদের নেতাকর্মীরা। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমাদের নেতা আছেন এবং থাকবেন। যখন সমস্যা হবে, তখন সমাধানও হবে। এ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই।
লন্ডনের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি তারেক রহমানের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। তিনি সিদ্ধান্ত জানালে দু-একদিনের মধ্যে জোবায়দা রহমানকে সদস্যপদ দেওয়া হবে।

দলের সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেওয়ার পর সাজাপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপির নেতৃত্ব হারাচ্ছেন? এর পরও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জিয়া পরিবারের কাউকে দলের নেতৃত্ব রাখতে চাইছেন। এ জন্য সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত জোবায়দা রহমানকে প্রাথমিক সদস্য পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। জোবায়দা রহমানকে দলের নেতৃত্বে আনা হলেও দল চালাবেন তারেক রহমানই।

জানা গেছে, সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বরচন্দ্র রায় জোবায়দা রহমানকে দলের দায়িত্বে আনতে তারেক রহমানের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন।

সূত্রমতে, তারেক রহমানের সঙ্গে তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন। এ জন্য জোবায়দা রহমান দেশে আসতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টে মধ্যকার সংলাপেও বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন নিয়ে কথা তুলেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। সংলাপে অংশ নেওয়া নেতারা জানান, বিএনপি কেন গঠনতন্ত্র সংশোধন করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রক্ষা করতে চাইল, এ বিষয়টি সংলাপে উত্থাপন করেন ১৪ দলের নেতারা। এর জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটি তো আমাদের ২০১৬ সালের ১৯ মার্চের কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি তা নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। আর গঠনতন্ত্র তো আমাদের মতো চলবে। এ নিয়ে কথা উঠবে কেন?

এ নিয়ে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে আলোচনা হয় এ প্রতিবেদকের। নেতাদের ভাষ্য, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি তাদের আবেগ থাকলেও বাস্তবতা ভিন্ন। হাইকোর্টের আদেশ নির্বাচন কমিশন বাস্তবায়ন করলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপাতত দলটির নেতৃত্বে থাকতে পারবেন না। কারণ আগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত কেউ বিএনপির নেতা হতে পারবে না। একই সঙ্গে বিএনপি থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়, জনসমর্থিত ও গণমানুষের একটি দল বিএনপি। মানুষের ইচ্ছা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খালেদা জিয়া চেয়ারপারসন হয়েছেন, তারেক রহমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়েছেন। এখানে কারও নাক গলানোর অধিকার আছে বলে আমরা মনে করি না। কে কী বলল, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না।’ তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া আমাদের দলের চেয়ারপারসন, বর্তমানে তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, এ বিশ্বাস নিয়ে দেশের মানুষ সংগ্রাম করে যাবে।’

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *