স্পোর্টস ডেস্ক:: প্রথম সেশনটা বাজে কাটে বাংলাদেশের। ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে সূচনালগ্নেই চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। একে একে ফিরে যান ইমরুল কায়েস, লিটন দাস ও মোহাম্মদ মিথুন। সেখান থেকে মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিমের প্রতিরোধ। সেই প্রতিরোধের মুখে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি জিম্বাবুয়ে বোলাররা। ফলে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে ওঠে। এতে দ্বিতীয় সেশনটা হয়ে দাঁড়িয়েছে শুধুই টাইগারদের।
দুর্দান্ত খেলছেন মুমিনুল-মুশফিক। ধরার বল ধরছেন, মারার বল মারছেন। এ সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটেই ২০৭। এ নিয়ে আট ইনিংস পর সাদা পোশাকে ২০০ রানের গণ্ডি অতিক্রম করল টিম টাইগার। এ পথে টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মুমিনুল। ৫৪.১ ওভারে সিকান্দার রাজাকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। এ নিয়ে লংগার ভার্সনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি হাঁকানোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন পয়েট অব ডায়নামোখ্যাত এ ব্যাটসম্যান। ৮ সেঞ্চুরি নিয়ে সবার ওপরে তামিম ইকবাল।
মুমিনুলকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দিচ্ছেন মুশফিক। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন তিনিও। ইতিমধ্যে ক্যারিয়ারে ২০তম ফিফটি (৭১) তুলে নিয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। এ রান করার পথে অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মুশফিক। টেস্ট ক্রিকেটে ঘরের মাঠে ২০০০ রানের মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন তিনি।
শুধু একক মাইলফলকই অর্জন করেননি মুশফিক। আরেকটি কীর্তি গড়েছেন তিনি। মুমিনুলের সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ ১৮১ রানের জুটির রেকর্ড গড়েছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আগেরটি ছিল ১৮০ রানের। চলতি বছরের শুরুতে শ্রীলংকার বিপক্ষে লিটনকে সঙ্গে এ রেকর্ড গড়েন মুমিনুল।
সিলেটে পাননি, তবে রোববার ঢাকায় টস ভাগ্যকে পাশে পান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। তবে শুভসূচনা এনে দিতে পারেননি তারা।
সূচনাতেই কাইল জার্ভিসের বলে উইকেটের পেছনে রেজিস চাকাভাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমরুল। ১৬ বল খেলেও ব্যক্তিগত রানের খাতায় কোনো রান যোগ করতে পারেননি এ ওপেনার। খানিক বাদেই একই বোলারের শিকার হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন লিটন।
পরে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ মিথুন। তবে ক্রিকেটের অভিজাত সংষ্করণে অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি তিনি। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ডোনাল্ড তিরিপানোর বলে স্লিপে ব্রেন্ডন টেইলরকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সিলেট টেস্টে বাজেভাবে হেরে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে পিছিয়ে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে ঢাকা টেস্টে হার এড়ালে কিংবা ড্র করলেই হবে না, জিততেই হবে টাইগারদের। ফলে ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে বাঁচামরার।
এমন সমীকরণে বাংলাদেশ একাদশে এসেছে তিন পরিবর্তন। অভিষেক হয়েছে সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও মোহাম্মদ মিথুনের। একাদশে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। গেল ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেন তিনি।
এ ত্রয়ী ঢোকায় বাদ পড়েছেন পেসার আবু জায়েদ রাহী, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত এবং বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু।
বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিথুন, আরিফুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।