বানিয়াচংয়ে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মহিলার মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিনিধি :: বানিয়াচং উপজেলার কাঠকাল গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে একের পর এক হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটছে। সালিশের মাধ্যমে মামলা তুলে নেয়ার প্রস্তাব না মানায় বাড়ী-ঘরে হামলা ও ভাংচুর করে চারজনকে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাঠখাল গ্রামের পাতনী বাড়ীর মৃত রিয়াত উল্লাহর ছেলে আব্দুস শহীদ ও চৌকিদারবাড়ীর নেতৃত্বে ১১টি গোষ্ঠীর সাথে একই গ্রামের হাজী ছিদ্দেক আলীর ছেলে কাছুম আলীর লোকজনের মাঝে জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। আব্দুস শহীদ এর লোকজন এ ব্যাপারে সালিশের মাধ্যমে মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করে কাছুম আলীর লোকজনকে। সালিশ না মানায় প্রায়ই বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে দূর্র্বৃত্তরা। শনিবার সকালে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বানিয়াচং থানার এসআই ফিরুজ আল মামুন কাঠখাল গ্রামে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করেন এবং কোন ধরনের সংঘর্ষে লিপ্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। বেলা পৌনে ১টার দিকে এই নিষেধ না মেনে আব্দুস শহীদ এর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কাছুম আলীর বাড়ীতে এসে হামলা ও ভাংচুর চালায়। সংঘর্ষে বুকে টেটাবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত আব্দুর রকিবের স্ত্রী মিনারা খাতুন (৩৫) কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পায়ে টেটাবিদ্ধ হাজী ছিদ্দেক আলীর ছেলে উসমান আলী (৩৮) কে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অপর আহত মৃত আদম আলীর ছেলে কুতুব আলী (২২) এবং হাজী ছিদ্দেক আলীর ছেলে মাওলানা আইয়ু বিন ছিদ্দিককে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা জানায়, পুলিশের বাধা সত্বেও আব্দুস শহীদ এর লোকজন তাদের বাড়ীতে এসে ত্রাস সৃষ্টি করে ভাংচুর এবং মারপিঠ করে।

বানিয়াচং থানার ওসি তদন্ত আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে রাত ১২ টার দিকে একটি সূত্রে জানায়, ঢাকাস্থ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসাধীন আহত মিনারা খাতুন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন নিকট আত্মীয় মাওলানা লুৎফুর রহমান।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *