খেলাধুলা ডেস্ক:: ছোট-বড় ‘সবুজ’ টিলায় বেষ্টিত লাক্কাতুরা চা-বাগান। হঠাৎ দেখে মনে হবে যেন সবুজের গালিচা আর সবুজ প্রকৃতির মধ্যে অবস্থান সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। সিলেট শহরতলির লাক্কাতুরাস্থ এই স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হয় ২০১৪ সালে।
চলতি বছরের শুরুতে এখানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। তবে এশিয়ার অন্যতম এই সুন্দর স্টেডিয়ামে এখনও ওয়ানডে কিংবা টেস্ট ম্যাচ হয়নি।
এবার ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণ টেস্ট ম্যাচের অপেক্ষা শেষ হচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। আজ শনিবার এ স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এর মধ্য দিয়ে দেশের অষ্টম টেস্ট ভেন্যুর স্বীকৃতি পাচ্ছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
সিলেটের এই অভিষেক টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে বের হচ্ছে বিশেষ প্রকাশনা ‘গ্লিম্পস অব সিলেট’। থাকছে আরো আয়োজন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম নাদেল এবং সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া ম্যানেজার ফরহাদ কোরেশী জানিয়েছেন, সিলেটের অভিষেক টেস্ট উপলক্ষে ‘গ্লিম্পস অব সিলেট’ প্রকাশনায় খ্যাতনামা ক্রীড়া সাংবাদিক-ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা লিখেছেন। এছাড়া এই টেস্টে থাকছে স্মারক কয়েন ও সুভ্যেনিয়র। আর বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে ‘দ্য ফাইভ মিনিট বেল’।
ইংল্যান্ডের লর্ডস ও ভারতের ইডেন গার্ডেনের পর তৃতীয় ভেন্যু হিসেবে এই বেল বা ঘণ্টা বাজিয়ে সিলেটে শুরু হবে টেস্ট। এই টেস্ট ম্যাচকে ঘিরে সিলেটের ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যেও আগ্রহ রয়েছে।
২০১৪ সালের টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের কয়েকটি ম্যাচ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কয়েকটি ম্যাচও হয় এ স্টেডিয়ামে।
বাংলাদেশ জাতীয় দল চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলে সিলেটে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর পঞ্চম আসরের কয়েকটি ম্যাচও এ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দৈর্ঘ্য ৬১৫ ফুট ও প্রস্থ ৪৮৫ ফুট। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতায় রয়েছে স্টেডিয়ামটি। বর্তমানে স্টেডিয়ামের ‘গ্রিন গ্যালারি’ ছাড়া আসন সংখ্যা ১৭ হাজার ১৯৩টি।