রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তিতে অবাক জাতিসংঘ

নিউজ ডেস্ক:: বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তিতে খুবই অবাক হয়েছেন শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার। বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এ কথা বলেন।

এই চুক্তির নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, শরণার্থী ইস্যু নিয়ে কাজ করা ইএনএইচসিআরের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তিতে খুবই অবাক হয়েছেন শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচারে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সাত লাখেরও বেশি মানুষ। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়।

পরে গত ৬ জুন নেপিদোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যেও সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে এখন পর্যন্ত প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় একজন রোহিঙ্গাকেও ফিরিয়ে নেয়ার সুনিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর পর গত মঙ্গলবার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে।

বুধবার মিয়ানমার কর্মকর্তারা দাবি করেন, তারা ৫ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পর্যালোচনা করেছে। চলতি মাসেই দুই হাজার জনের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

তবে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, এ প্রত্যাবাসন চুক্তিতে খুবই অবাক হয়েছেন শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার। শরণার্থী ইস্যু নিয়ে কাজ করা ইএনএইচসিআরের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনাই করা হয়নি।

বর্তমানে কক্সবাজারে অবস্থান করা জাতিসংঘ শরণার্থী কমিশনের কর্মকর্তা ক্রিস মেলজার বলেন, তাদের চুক্তিতে জায়গা দেয়া হয়নি। আমরা হয়তো ফিরে যাওয়া ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কোনো ধরাবাঁধা সময় ও নির্দিষ্টসংখ্যক রোহিঙ্গাকে যুক্ত করার বিরোধিতা করতাম।

স্টিফেন দুজারিক বলেন, রাখাইনে এখনও রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি। এখনও সেখান থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা। এখান থেকেই সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অনুমান করা যায়।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *