নিউজ ডেস্ক:: রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত নিরসনে ভূমিকা রাখার আশ্বাস দিয়েছে চীন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শুক্রবার ঢাকায় দুই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে এ আশ্বাস আসে বলে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা আশ্বাস দিয়েছেন- তারা ফিল করছেন যে এটি তাড়াতাড়ি সলভড হবে।
সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠকে চীনের প্রতিনিধিদলে নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির জননিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর ঝাও কেজি।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চীনকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়।
মিয়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে গত বছরের আগস্টের পর থেকে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে থেকে বাংলাদেশে রয়েছে আরও চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা।
চীনের জননিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন, সেখানেও রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি আসে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও চীনের পক্ষ থেকে গঠনমূলক ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বাংলাদেশ যে ‘ভিকটিম’ হয়েছে, তা চীন উপলব্ধি করছে। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসাও করেছেন তারা।
বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ ও সাইবার অপরাধ দমন নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম দমনে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে।
চীন ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আশা দিয়েছে বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
সকাল সাড়ে ৯টায় চীনের মন্ত্রী সচিবালয়ে উপস্থিত হলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাঙ্গণে অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুলিশের একটি দলের সালাম নেন ঝাও কেঝি।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা অংশ নেন। চীনের পক্ষে দেশটির ২৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন।