নিউজ ডেস্ক:: প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশে অংশ নিতে সকাল থেকেই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। উদ্যান এখন কানায় কানায় পূর্ণ।
সাংস্কৃতিক মঞ্চে কিরণ চন্দ্র রায়সহ দেশবরেণ্য শিল্পীরা গান করছেন। সিনিয়র নেতারা অনেকেই এসেছেন।
এরই মধ্যে উদ্যানের একটি বড় অংশজুড়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। জাপার নেতাকর্মীরা মিছিলসহকারে উদ্যানে আসছেন, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে প্রবেশ করছেন তারা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী সাংবাদিকদের বলেন, তৃণমূলের হাজার-হাজার নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থান নিয়েছেন। শনিবার ভোর থেকেই নেতাকর্মীরা উদ্যানে আসছেন।
তিনি বলেন, বেলা ১১টার দিকে সমাবেশ শুরু হবে। সমাবেশের মূল মঞ্চের পাশে থাকা সংস্কৃতিক মঞ্চে কিরণ চন্দ্র রায়সহ দেশবরেণ্য শিল্পীরা গান গাইছেন। সিনিয়র নেতাদের অনেকেই সমাবেশে এসেছেন।
অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এবারের মহাসমাবেশে বৃহত্তম জমায়েতের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করতে চায় দলটি।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এ মহাসমাবেশ থেকে আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন, দেবেন রাজনীতিতে নতুন বার্তা।
সকাল ১০টায় মহাসমাবেশের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এতে সভাপতিত্ব করবেন।
পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ জাতীয় পার্টি এবং জোটের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেবেন।
মহাসমাবেশ বর্ণাঢ্য করতে নেয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
শাহবাগ থেকে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে একাধিক তোরণ।
মহাসমাবেশ সফল করতে দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি বলেছেন, এবারের মহাসমাবেশ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এদিন রাজধানী ঢাকা থাকবে জাতীয় পার্টির দখলে। জাতীয় পার্টির শক্তি এবং সামর্থ্যের বিষয়টিও জানান দেয়া হবে এ মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে এ মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাজধানীতে নতুন বার্তা দেবেন। জাতির উদ্দেশে আগামী দিনের দিকনির্দেশনা দেবেন। এ মহাসমাবেশ থেকে নির্বাচনী রোডম্যাপও ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
সমাবেশ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে মাঠ ও আশপাশের এলাকা।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছবিসংবলিত ব্যানার-পোস্টার দিয়ে সমাবেশের চারপাশ সাজানো হয়েছে। উদ্যানের ঠিক মাঝখানে উত্তরমুখী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। প্রধান মঞ্চের কয়েক ফুট দূরেই রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চ।
মহাসমাবেশ স্মরণীয় করে রাখতে এরই মধ্যে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতারা। সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক নেতাকর্মী এতে অংশ নেবেন বলে মনে করছেন তারা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ পর্যন্ত ১৫০টি মাইক লাগানো হয়েছে। পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের বিশাল আকৃতির ছবি শোভা পাচ্ছে মাঠজুড়ে।
এছাড়া পুরো উদ্যান ভরে গেছে নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুনে।
নির্বাচনের আগমুহূর্তে নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্যর জানান দিতেই এ মহাসমাবেশ করছে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট।