রাঙ্গাবালীতে ইজতেমা বন্ধের নির্দেশ, ময়দান ছাড়েননি মুসল্লি-সাথীরা

নিউজ ডেস্ক:: অনুমতি না পাওয়ায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমার আয়োজন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

বুধবার দুপুরে ইজতেমা ময়দানে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহাগ হাওলাদার ও রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র এ নির্দেশ দেন।

কিন্তু বিভিন্ন এলাকা থেকে ইজতেমায় অংশ নিতে আসা হাজারও মুসল্লি ও সাথীরা হতাশ হলেও ময়দান ত্যাগ করেননি।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চরইমারশন এলাকার আগুনমুখা নদীর তীরে ‘পটুয়াখালী জেলা ইজতেমা’ হওয়ার কথা ছিল।

এ উপলক্ষে ময়দান প্রস্তুতের কাজও প্রায় শেষপর্যায় ছিল। কিন্তু শেষেমেশ প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়া যায়নি। এ কারণে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানে পুলিশ মোতায়েন করা ছিল।

পরে দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রাঙ্গাবালী থানার ওসি মৌখিকভাবে ইজতেমার আয়োজন বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

বুধবার বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মুসল্লিরা স্বেচ্ছাশ্রমে ময়দান প্রস্তুতে কাজ করে চলছিলেন। প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্নও হয়েছিল। রান্নাঘর, বিশুদ্ধ পানির জন্য গভীর নলকূপ, টয়লেট ও গোসলখানাও তৈরি করা হয়েছে। শুধু প্যান্ডেল- শামিয়ানা লাগানোর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি।

বুধবার বিকাল পর্যন্ত হাজারও মুসল্লি এসে ময়দানে জড়ো হয়েছেন। আরও মুসল্লিরা বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রলার ও লঞ্চযোগে ময়দানে আসছেন। ইজতেমায় অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা জানান, ইজতেমা শুরু হওয়ার একদিন আগে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে ইজতেমায় অংশ নিতে আসা বিভিন্ন এলাকার শত শত মুসল্লি-সাথীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তবে মুসল্লি ও সাথীদের ময়দান ত্যাগ করতে বলা হলেও তারা ময়দান ত্যাগ করেননি।

ইজতেমা আয়োজনের দায়িত্বে নিয়োজিত আমির মো. ফয়সাল হোসাইন বলেন, ‘ইজতেমা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমরা কথা বলে যাচ্ছি। আমরা ময়দানে আছি, ইনশাআল্লাহ।’

রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, ‘ইজতেমার আয়োজকরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের অনুমতি পাননি। এছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন রিপোর্ট ও নিরাপত্তাজনিত কারণে ইজতেমার আয়োজন বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হাওলাদার বলেন, ‘প্রত্যেক অনুষ্ঠান করার আগে এসবি-ডিএসবির অনুমতি নিতে হয়। নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে পুলিশ সুপার জেলা বিশেষ শাখা অনুমতি দেয়নি। এ কারণে জেলা প্রশাসক মহোদয়ও অনুমতি দেননি। তাই আয়োজন বন্ধ রয়েছে। অনুমতি পেলেই তাদেরকে ইজতেমা করতে দেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিনব্যাপী এ উপজেলায় ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছিল। এ ইজতেমায় জেলার সদর উপজেলা, গলাচিপা, কলাপাড়া, মির্জাগঞ্জ, দশমিনা, দুমকি বাউফল ও রাঙ্গাবালী উপজেলাসহ দেশি-বিদেশি প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মুসল্লি ও সাথীরা অংশগ্রহণ করার কথা।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *