নিউজ ডেস্ক::ঋণ জালিয়াতির মামলায় এসএ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার সকালে রাজধানী থেকে গ্রেফতারের পর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে আদালতে তোলে।
মহানগর হাকিম শরাফুজ্জমান আনসারী ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, বুধবার ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের করা একটি মামলায় মো. শাহাবুদ্দিন আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
এসএ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন আলম বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন সময়ে বিপুল পরিমাণে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন। তার মোট ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬২২ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯ টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের সিডিএ অ্যাভিনিউ শাখা থেকে তার নেয়া ঋণের পরিমাণ ৭০৯ কোটি ২৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
এছাড়া ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৯৪০ কোটি ১০ লাখ ৫১ হাজার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩৬ কোটি ১১ লাখ ৪১ হাজার, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৭০১ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার, পূবালী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ১১ লাখ ৪৮ হাজার, কৃষি ব্যাংকের ষোলশহর শাখা থেকে ১৭৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩৭ হাজার, অগ্রণী ব্যাংক করপোরেট শাখা থেকে ৫৪৮ কোটি ৪৪ লাখ, জনতা ব্যাংক শেখ মুজিব রোড করপোরেট শাখা থেকে ১১৮ কোটি ২২ লাখ ৭১ হাজার ও প্রাইম ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৫৫ কোটি ২৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি।
মো. শাহাবুদ্দিন আলম ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের নুরুল আমিন লাবলুর কাছ থেকে ১০ কোটি ও মেওয়া ওয়েল অ্যান্ড ফ্যাডস থেকে ২৬ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। এসব ঋণ তিনি পরিশোধ করেননি।
শাহবুদ্দিন আলম বেসরকারি মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডেরও পরিচালক।
তার মালিকানাধীন এসএ গ্রুপের অধীনে তেল পরিশোধন, খাদ্যপণ্য, দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্য, পানীয়, সিমেন্ট, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বাজারে এই গ্রুপের পরিচিত পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে গোয়ালিনি কনডেন্সড মিল্ক, গুঁড়ো দুধ, মুসকান ড্রিকিং ওয়াটার, সয়াবিন তেল, ঘি, আটা, ময়দা ইত্যাদি।