মতবিরোধ থাকলেও নির্বাচন করা কঠিন হবে না: সিইসি

নিউজ ডেস্ক:: বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার কাজ কঠিন হবে না বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

গতকাল নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি, তিনি বাকস্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে সিইসি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ভোটার তালিকা, ভোট কেন্দ্রসহ তিন–চারটি বিষয়ে তাঁরা কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সার্বিকভাবে পরিস্থিতি সন্তোষজনক। কোথায়, কীভাবে নির্বাচন সামগ্রী নেওয়া হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতা তাঁরা পাচ্ছেন।

গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনারদের সভায় বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বা আপত্তি দিয়ে তা বর্জন করেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। সভা শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যে তা বর্জন করেন এই নির্বাচন কমিশনার।

‘নোট অব ডিসেন্টে’ মাহবুব তালুকদার লেখেন, ‘বাকস্বাধীনতা ও ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধানপ্রদত্ত আমার মৌলিক অধিকার। নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই আমার এই অধিকার খর্ব করতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘এমতাবস্থায় অনন্যোপায় হয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের এরূপ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নোট অব ডিসেন্ট প্রদান করছি এবং এর প্রতিবাদস্বরূপ কমিশনের সভা বর্জন করছি।’

নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানায়, মাহবুব তালুকদার তাঁর বক্তব্যে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সরকারের জন্য নির্বাচন নিয়ে সংলাপসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন।

প্রায় দেড় মাস পর গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের সভা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ও তফসিল নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।

সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের সভা হয়। ওই সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে আইন সংশোধনের প্রস্তাবে আপত্তি দিয়ে সভাত্যাগ করেন মাহবুব তালুকদার।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিইসি ও অন্য চার কমিশনারের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। টানা দেড় মাস কোনো বৈঠক না হওয়ার এটাও একটা কারণ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *