সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া ১১ মাস বয়সী সেই শিশু মাইসা আক্তার উদ্ধার হয়েছে। সোমবার রাত ৮ টার দিকে নগরীর শিবগঞ্জ হাতিমবাগ ৫০/১ লুফাই মিয়ার বাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ ।
এ ঘটনায় চুরির সাথে জড়িত মহিলাসহ ৩ জন আটক হয়েছে। তারা হচ্ছে-শিশু চুরির ঘটনার মূল নায়ক নগরীর লালা দিঘীরপাড়ের শামীম মিয়ার স্ত্রী শিউলি বেগম (২৫), তার ভাই শিবগঞ্জ হাতিমবাগের আলী হোসেনের পুত্র বাদশাহ (৩০) এবং তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার সাকী (২৫)।
গোপন সূত্র জানায়, শিবগঞ্জ হাতিমবাগ এলাকার বাসিন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) কোতোয়ালী থানার এস আই বাবুল মিয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশু চুরির মূল নায়ক শিউলি বেগম তার নি:সন্তান ভাই ও ভাবীকে চুরি করা শিশুটি প্রদান করে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের নতুন বিল্ডিংয়ের দু’তলার বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে মা সুমি বেগমের কাছ থেকে অপহৃত হয় শিশু মাইশা।
এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারের নৈইখাই গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী সুমি বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা মহিলাকে আসামী করে কাতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ জানায়, আজ মঙ্গলবার মাইশাকে পিতা-মাতার জিম্মায় প্রদান করা হবে।