নগরীর কাস্টঘরে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রির পায়তারা!!

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট নগরীর কাস্টঘর এলাকায় অবৈধ পথে ও পন্থায় মদ বিক্রয় হলেও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এবং পুলিশের দুর্নীতিবাজ কথিপয় কর্মকর্তা কর্মচারী ও পুলিশ সদস্য এবং রাজনৈতিক কতিপয় অসাধু নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বারংবার পার পেয়ে যাচ্ছে কাস্টঘর মাদক পাট্টার মালিক।

বিষয়টি এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। ফলে ২০১০ সালের ১৯ আগষ্ট ঘটে যাওয়া ‘গোয়ালাবাজার ট্রাজেডীর মতো আবারো বড় ধরনের ঘটনা যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে।

এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, সিলেট নগরীর কাস্টঘরের বিভিন্ন বোডিং এ লাইসেন্সধারী পাট্টার নামে দীর্ঘ দিন যাবৎ বাংলা মদ ও ইয়াবার ব্যবসা করছে স্থানীয়ভাবে পরিচিত বাটুল নামের একজন মাদক ব্যবসায়ী। প্রতিদিনই এখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাংলা মদের ড্রাম ও ইয়াবার চালান আসে সিলেটের কাস্টঘরের মদের পাট্টায়। কাস্টঘরের বিভিন্ন বোর্ডিংয়ের নীচতলার পিছনে সুরক্ষিত গুদামে রাতের বেলা বিভিন্ন জাগা থেকে আসা অক্ষত ড্রাম ভেঙ্গে বের করা হয়।

গোপনীয়তা রক্ষার মাধ্যমে ‘খাটি’ নামের বাংলা মদের সাথে সাধারন পরিষ্কার পানি, মিথাইল, ষ্ট্রিট, ইলোকট্রিন ট্যাবলেট ও নিশাজল বিষাক্ত মদ তৈরি করে মাদক চক্র। বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যের মিম্যন ঘটানোকালে অনেক সময় পরিমানের হের ফের হয়ে যায়। কিন্তু কোনো ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই বিশাল মাদক নেটওয়ার্ক এ বিষ পৌঁছে দিচ্ছে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে নামে বেনামে গড়ে ওঠা মদের পাট্টায়।

জানা গেছে, সিলেটের কাস্টঘরের সুইপার কলোনীর ভেতরে মেথরদের জন্য মদের পাট্টা স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে ছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলোনীটির বাইরে আবাসিক অত্র বোর্ডিংয়ের শর্ত লঙ্গন করে চলছে অবৈধ মদ ও ইয়াবার কারবার।
সরজমিনে সিলেট নিউজ টাইমসের প্রতিবেদক কাস্টঘর এলাকায় গেলে বাটুল নামের মাদক ব্যবসায়ী তাকে কিছু লাগবে নাকি সরাসরি জিজ্ঞেস করে! এখানে কি কি পাওয়া যায় উত্তরে বাটুল বলেন এখানে বাংলা সহ ‘বাবা’ সবই পাওয়া যায়!

উল্লেখ্য সিলেটে ইয়াবাকে স্থানীয়ভাবে বাবা বলে ডাকা হয়। তাছাড়া মাদক ব্যবসায়ী বাটুল বলেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই প্রশাসনসহ সবকিছু ম্যনেজ আছে! তাছাড়া আমার ছোট ভাই এই এলাকায় আছে, তাকে সবাই গুন্ডা নামে চিনে! তাই আপনাকে কেউ কিছু বলবে না বলে বাটুল প্রতিবেদককে দাম্বিকভাবে আশ্বস্ত করে।

গতমাসে ভাম্যমান আদালতের মাধ্যমে নগরীর কাস্টঘর এলাকার একটি বাসার মেঝের টাইলসের নিচে মাদকের গোডাউনের সন্ধ্যান পেয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসময় গৃহকর্তাকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তূ কিছুদিন যেতে না যেতেই আবাও পুরোনো চেহারায় ফিরছে এলাকাটি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *