সুখোই কিনলে ভারতকেও নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হবে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: চীনের পর এবার ভারতকেও পরোক্ষ বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের তরফে জানানো হল, রাশিয়ার কাছ থেকে সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা কেনার দিকে এগিয়ে গেলে ভারতসহ সব দেশকেই তার মূল্য দিতে হবে। জারি হবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা।

যার নাম- কাউন্টারিং আমেরিকাজ অ্যাডভার্সারিজ থ্রু স্যাংশ্যান্স অ্যাক্ট (সিএএটিএসএ বা ক্যাটসা)।

রাশিয়ার কাছ থেকে সুখোই এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান ও ভূমি থেকে আকাশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য দিনকয়েক আগেই চীনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা।-খবর আনন্দবাজারপত্রিকা অনলাইনের।

ক্রিমিয়ার ওপর দখলদারি ও অন্যান্য কয়েকটি কারণে রাশিয়াকে শাস্তি দেয়ার লক্ষ্যে এই প্রথম কোনও তৃতীয় দেশ চীনের বিরুদ্ধে ক্যাটসা জারি হল। ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা বলেছেন, এই সব নিষেধাজ্ঞারই আসল লক্ষ্য, রাশিয়া।

চীন অবশ্য কড়া প্রতিক্রিয়া জানাতে দেরি করেনি। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে আমেরিকাকে ওই ভুল শুধরে নিতে বলা হয়েছে।

বলা হয়েছে, তা না হলে পরিণতি ভাল হবে না। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল নিয়মকানুনকেই লঙ্ঘন করেছে। একই সঙ্গে দুটি দেশ (চীন ও আমেরিকা) আর দুদেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্কে ভীষণভাবে আঘাত করেছে।

আমরা আন্তরিকভাবে ওই ভুল শুধরে নিতে বলছি আমেরিকাকে। না হলে পরিণতি ভাল হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।

দিল্লিতে সম্প্রতি ভারত ও আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে আলাদা আলাদাভাবে যে বৈঠক হয়েছে (টু প্লাস টু) সেখানেও রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা কেনার ব্যাপারে ভারতের চেষ্টা নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয় বলে ট্রাম্প প্রশাসন সূত্রে খবর।

ওয়াশিংটন যে বিষয়টিকে মেনে নিতে রাজি নয়, সেটাও দিল্লিকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

শুধুই ভারত নয়, রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং সুখোই এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে তুরস্কও।

ট্রাম্প প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা অবশ্য সরাসরি ভারতের নামোল্লেখ করেননি। বলেছেন, এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে অন্য যে দেশগুলো আগ্রহী, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছাইনি।

তবে বিশ্বের প্রায় সব দেশের সঙ্গেই আমরা বিষয়টি নিয়ে সবিস্তার আলোচনা করেছি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *