নিউজ ডেস্ক:: শায়েস্তাগঞ্জে প্রেমের টানে পালিয়ে যাওয়া কলেজ ছাত্রসহ তার প্রেমিক স্বামী স্কুল মাস্টারকে অবশেষে দেড় বছর পর আটক করেছে পুলিশ।
গত বুধবার দিবাগত রাত ১টার সময় শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিছুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদেরকে কোর্টে প্রেরণ করা হলে, প্রেমিক স্বামী সাদমান জহির (৫০) কে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সে ওই গ্রামের শাহ আমির হামযার পুত্র। অপরদিকে, তার প্রেমিকা মারিয়া সুলতানা ইমাকে সেইফ কাষ্টরীতে প্রেরণ করা হয়।
সূত্র জানায়, কাশিপুর গ্রামে স্থানীয় প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক সাদমান জহিরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে শায়েস্তাগঞ্জ বিরামচর গ্রামের আব্দুর রহিমের কন্যা ইসলামপুর কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী মারিয়া সুলতানা ইমার। আজ থেকে দেড় বছর আগে তারা পালিয়ে গিয়ে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করে। জহির বয়স্ক ও বিবাহিত হওয়ায় ইমার পরিবার তা মেনে নেয়ননি। কিন্তু ইমা মেনে নিয়ে ঘর সংসার শুরু করে।
বর্তমানে ইমা অন্ত্বঃস্বত্তা বলে জানা গেছে। এদিকে, তাদের মধ্যে মনোমলিন্যতা সৃষ্টি হওয়ায় ইমার মা বাদী হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি নারী নির্যাতন ও অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ তাদেরকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় রসালো আলোচনার ঝড় উঠেছে।
আগামী রবিবার ইমা আক্তারের জবানবন্দি আদালতে গ্রহণ করা হবে। এরপর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। বর্তমানে ইমা হবিগঞ্জ কারাগারের সেইফ কাষ্টরীতে আছে এবং জহির কারাগারে রয়েছে।