আফগানদের বিপক্ষে মর্যাদার লড়াই

স্পোর্টস ডেস্ক:: এশিয়া কাপে বি-গ্রুপে ফেভারিট ছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা। অথচ তিন দিনের ব্যবধানে দুই ম্যাচে হেরে সবার আগেই বিদায় নিয়েছে তারা। লংকানদের বিদায়ে একটি করে জয়ে, এক ম্যাচ হাতে রেখেই সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের।

আবুধাবিতে আজ গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে দু’দলের লড়াইয়ের হিসাব-নিকাশ তাই সামন্যই। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ নির্ধারণ হওয়া ছাড়া আর কোনো হিসাব নেই এই ম্যাচে। তবে প্রতিপক্ষ যখন আফগানিস্তান, জয়টা তখন বাংলাদেশের কাছে সম্মানের, মর্যাদার।

 

মাশরাফিরা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে এশিয়া কাপের ঠাসা সূচির মধ্যে আরও জটিল সমীকরণে পড়তে হবে। এদিকে মুশফিকুর রহিমের ইনজুরি থাকায় তারও বিশ্রামের প্রয়োজনের কথা ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে মর্যাদার কথা মাথায় রেখে এবং মোমেন্টাম ধরে রাখার জন্য বাংলাদেশ শিবিরে জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবনায় নেই।

এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপের সমীকরণ দাঁড়িয়ে অদ্ভুত এক মোড়ে। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলেরই তুলনামূলক বিপদ বেশি। জিতলেই পরদিন ম্যাচ খেলতে দুবাই থেকে ছুটতে হবে আবার আবুধাবিতে। এখানেই শেষ নয়, এর একদিন বিরতির পরই আবার দুবাই থেকে আবুধাবি। যেন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলেই বিপদ!

এবার দুই ভেন্যুতে খেলা হলেও দলগুলো থাকছে দুবাইয়ে। ম্যাচের দিন দলগুলোকে দুবাই থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার বাস ভ্রমণ করে আবুধাবিতে যেতে হচ্ছে। রানার্সআপ হলেই দুবাইয়ে খেলা হবে, ভ্রমণ ক্লান্তি নিয়ে ভাবতে হবে না।

তামিম ইকবাল ইনজুরি নিয়ে মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন। ওপেনিংয়ে লিটন দাসের সঙ্গী কে হবেন, এ নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সূচির জটিলতা ভাবাচ্ছে কোচ স্টিভ রোডসকে। সামনের চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন বলে সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে চান তিনি। এমন ভাবনা থেকেই মুশফিককে বিশ্রামে রাখার পক্ষে রয়েছেন কোচ।

তামিম আগেই ছিটকে গেছেন। মুশফিকও যদি না খেলেন, তাহলে সেরা দুই ব্যাটসম্যানকে ছাড়াই নামতে হবে দলকে। ম্যাচের ওজন কমে যাওয়ায় এমনটা ভাবতে পারছে দল। তামিম ছিটকে যাওয়ায় নাজমুল হোসেন শান্তর ওয়ানডে অভিষেক হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। নতুন করে অভিষেক হতে পারে মুমিনুল হকেরও।

২৬ ওয়ানডে খেলা মুমিনুল সবশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৫ বিশ্বকাপে! কোচ রোডস বলেন, ‘তামিম নেই, তবে মুমিনুল ও শান্তকে পাওয়ায় আমরা সৌভাগ্যবান, যারা তামিমের জায়গায় খেলতে পারে। তামিমের অভাব পূরণ করা মোটেও সহজ নয়। তবে ওরা দু’জনই দারুণ সম্ভাবনাময়।’

বাংলাদেশের গ্রুপে থাকার পর থেকেই আফগানিস্তানকে নিয়ে আলোচনা। মাশরাফিরা যদিও ৫০ ওভারের ম্যাচ হওয়ায় ভাবতে চান না তাদের নিয়ে। সদ্য টেস্ট মর্যাদা পাওয়া দলটির সঙ্গে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ খুব বেশি ভালো ফল করতে পারেনি। ২০১৪ এশিয়া কাপে ফতুল্লায় প্রথম মুখোমুখিতে হেরেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। মাঝে আরও চার ম্যাচের একটিতে জিতেছে আফগানিস্তান।

সবশেষ দু’দল মুখোমুখি হয়েছিল এ বছর জুনে ভারতের দেরাদুনে টি ২০ সিরিজে। সেখানে হোয়াইটওয়াশ হয় সাকিব আল হাসানের দল। আফগানিস্তানের তিন স্পিনার রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী ও মুজিব-উর-রহমান দুটি করে উইকেট নিয়ে শ্রীলংকার ইনিংসে ধস নামান। আফগানদের বোলিংয়ে শক্তির জায়গা এই তিন স্পিনার। আবুধাবিতে স্পিনাররাও সুবিধা পাবেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *