ডিআইজি ও এসপির কাছে অভিযোগ ঘুষ না দেওয়া কোম্পানীগঞ্জের ট্রান্সপোর্ট কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে পাথর চুরির মামলা

ওসি আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা থেকে অব্যাহিত প্রদানের আবেদন জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ ট্রান্সপোর্ট কমিটির সভাপতি মো. জামাল আহমদ। সিলেটের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারের কাছে আইনজীবির মাধ্যমে মঙ্গলবার দেওয়া এক আবেদনে তিনি এ দাবি জানান।

জামাল আহমদ অভিযোগ করেন- মামলার ভয় দেখিয়ে ওসি আব্দুল হাই সোর্স বিল্লালের মাধ্যমে তার কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ চান। টাকা না দেওয়ায় পর্যটন এলাকায় পাথর লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।

পাড়–য়া বদিকোনা এলাকার সাবেক মেম্বার আবুল হোসেনের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য মো. জামাল আহমদ আবেদনে উল্লেখ করেন- ‘প্রতিষ্টিত ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী হওয়া সত্বেও বর্তমানে পাথর চুরির মামলার আসামি হয়ে ফেরারী জীবন করছি। অতীতে কখনো মামলা তো দুরের কথা জিডির হয়নি আমার বিরুদ্ধে।’

তিনি বলেন- গত ৮ই সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জের বিজিবির কালা সাদেক বিওপির পাশ^বর্তী সাদাপাথর ও পর্যটন এলাকায় বোমা মেশিন লাগিয়ে অবাধে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছিল। ওই সময় বিজিবির সদস্যরা এলাকায় পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে অভিযান চালায়। এ সময় পাথরখেকো চক্রের সদস্যদের সঙ্গে বিজিবির সদস্যদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার দুই দিন পর বিজিবির কালা সাদেক বিওপির নায়েক সুবেদার জাহাঙ্গীর বাদি হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই দিন পর্যটন এলাকা কলাবাড়ির সোর্স বিল্লালের লোকজনের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। ঘটনার পরপরই বিল্লাল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে নিরীহ মানুষদের আসামি করেছে।

জামালা আহমদ বলেন- ‘মামলার বাদি বিওপির নায়েক সুবেদার জাহাঙ্গীরের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলি। নায়েক সুবেদারও স্বীকার করেছেন যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের তিনি চিনেন না।

ওসি আব্দুল হাই তার সোর্সদের মাধ্যমে আসামিদের নাম খুজে বের করে মামলায় অর্ন্তভুক্ত করেছেন।’ বিজিবির দায়ের করা মামলা নিয়ে ঘুষ বানিজ্যে কোম্পানীগঞ্জের ওসি মেতে উঠেন বলে দাবি করেন জামাল। স্মারকলিপিতে জামাল আহমদ ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি তাকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানেরও দাবি জানান।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *