বাংলাদেশের সংসদে সংখ্যালঘুদের জন্য আসন সংরক্ষণের দাবি

নিউজ ডেস্ক:: বাংলাদেশের সংসদে সংখ্যালঘুদের জন্য আসন সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার আহসান হাবিব। কলকাতায় এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সংসদে সংখ্যালঘুদের জন্য আসন সংরক্ষণ প্রয়োজন। তারা যাতে তাদের সমস্যার কথা সংসদে তুলে ধরতে পারেন সেজন্যই এই আসন সংরক্ষণ দরকার। গত রবিবার কলকাতার একাডেমি অফ ফাইনআর্টস মিলনায়তনে ইন্দো-বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি ফর টেরর ফ্রি ওয়ার্ল্ড এবং গ্লোবাল মাইনরিটি ভয়েজ আয়োজিত ’বাংলাদেশ-ভারত সংলাপ : সংখ্যালঘু নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক সেমিনারে অংশ নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বক্তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা যে বিপন্ন সেকথা উল্লেখ করেছেন। তবে মুক্তিযোদ্ধা এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল বলেছেন, মৌলবাদী শক্তির অত্যাচারেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা।

তিনি অভিযোগ করেছেন, বিএনপি নানাভাবে জামায়েতকে মদত দিচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে আফগানিস্থানে রুপান্তরিত করা। আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির নেতারা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, তারাও চান বাংলাদেশ সরকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা জোরদার করুক।

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদের নির্বচন যেন ২০১৪ সালের মত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুক।

তারা আরও বলেছেন, বাংলাদেশের বিরোধীদল আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখনো শঙ্কায় আছেন। তারা চান শঙ্কামুক্ত নির্বাচন হোক। মানুষ গণতান্ত্রিক ভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করুক। ভারতীয় বক্তাদের অভিমত, এই উপমহাদেশে প্রতিটি দেশের সরকারের উচিৎ সেদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। শুধু শারীরিক দিক থেকে নিরাপত্তা নয়; তাদের মানসিক দিকের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা দরকার। সেমিনারের চারটি পর্বে আলোচনায় অংশ নেওয়া বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের জন্য প্রতিটি দেশকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার সবসময় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সর্বদা সচেষ্ট। আসন্ন সংসদ নির্বাচনেও বাংলাদেশ সরকার সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে বদ্ধ পরিকর। সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন এডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিব, এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, অধ্যাপক ইউসুফ আবদুল্লাহ, প্রদীপ হালদার, ড. সাদেকা হালিম, খালিদ মোহাম্মদ চৌধুরী, কাজী মোজাহারুল ইসলাম দোলন, প্রতীম রঞ্জন বোস, প্রশান্ত ভুষণ বড়–য়া, জয়নাল আবেদিন, জয়ন্ত কুমার রায়, সমীর কুমার মিত্র, গদাধর চট্টোপাধ্যায়, গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়,পংকজ রায়, অধ্যাপক দেবাশীষ কুমার কুন্ডু, ইন্দো-বাংলাদেশ কালচারাল সেন্টারের সভাপতি সৈয়দ তানভির নাসরিন প্রমুখ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *