আরও একটি রাজনৈতিক জোট হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক:: অনিবন্ধিত ১৫টি রাজনৈতিক দল মিলে আসছে আরও একটি নতুন জোট। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন নির্বাচনী মহাজোটে যোগদান করার উদ্দেশ্যেই এই জোট গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

নতুন এই জোটের সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা নির্বাচনী মহাজোটে যোগদানের বিষয়টি এড়িয়ে যান। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সফলতার কথা স্বীকার করেন তারা। নতুন এই জোটের নেতারা বলছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ফের যেন শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসতে পারে, সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাবেন।

নতুন এই জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’। ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহ উর রহমান চৌধুরী এবং চৌদ্দদলীয় জোটের শরিক তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়াল এমপির নেতৃত্বে এই জোট হচ্ছে। জোটের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন মেজবাহ উর রহমান চৌধুরী এবং মুখপাত্র হবেন এমএ আউয়াল।

এমএ আউয়াল তরিকতের হয়ে বর্তমান সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে ‘ইসলামী ঐক্যজোট’ এর আগেও ২০১৬ সালের শুরুতে নতুন কয়েকটি দল নিয়ে জোটের চিন্তা করা হয়। পরবর্তী সময়ে সেই ভাবনার বাস্তবায়ন আর হয়নি।

এই জোটে তরিকত ফেডারেশনের ব্যানারেই থাকবেন কিনা, তা এখনো স্পষ্ট করেননি আউয়াল। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, আপাতত ব্যক্তিগতভাবে আমি এই জোটে থাকছি। তরিকতের একাংশ এখানে আসবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে এখন কথা বলতে চাচ্ছি না। পরেরটা পরে দেখা যাবে।

তরিকত ফেডারেশনের সভাপতিম-লীর সদস্য সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী আমাদের সময়কে জানান, এমএ আউয়াল সাহেব এখন পর্যন্ত আমাদের দলে আছেন। তার সাংগঠনিক চর্চার ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন থাকায় মহাসচিব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন কোনো জোট করতে গেলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী এবং মুক্তিযুদ্ধের নেতত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে শরিক হয়ে থাকার পরও নতুন আরেকটি জোটের প্রয়োজন মনে করলেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়াল বলেন, আমি দুই বছর ধরেই ভাবছিলাম নিজে একটি জোটের নেতৃত্ব দেব। সে চিন্তা থেকেই এই জোট।

এই জোটের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়াল বলেন, দেশের উন্নয়ন ও সফলতা ধরে রাখতে শেখ হাসিনাকে পুনর্বার ক্ষমতায় আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় এ জোট হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেননি আউয়াল। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী জোটে ‘ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’-এর জায়গা হতে পারে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় তার বক্তব্যে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ আমাদের সময়কে বলেন, নির্বাচনী জোটে কারা থাকবে এবং কারা থাকবে না এ বিষয়ে আমাদের দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নেবেন। এ মুহূর্তে আমাদের পক্ষ থেকে কিছু বলার নেই।

নতুন এ জোটের বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহ উর রহমান চৌধুরীকে।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর গুলিস্তানের একটি হোটেলে জোটটির আত্মপ্রকাশ ঘটবে বলে জানা গেছে। জোটের অন্যতম শরিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে-বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, গণতান্ত্রিক ইসলামিক মুভমেন্ট, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ গণকাফেলা, বাংলাদেশ জনসেবা আন্দোলন, বাংলাদেশ জমিয়তে দারুসসুন্নাহ, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও ইসলামী ইউনিয়ন বাংলাদেশ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *