হবিগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের পরিচালকের বিরুদ্ধে অসভ্য আচরণ ও আনসার সদস্যকে মারধোরের অভিযোগ

আজিজুল ইসলাম সজীব:: হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নবাগত সহকারী পরিচালক মধুসুদন সরকার কর্তৃক কর্মরত এক আনসার সদস্যকে চর মারার ঘটনায় সংশ্লিস্ট অফিসে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা।

সোমবার দুপুরে সৃষ্ট এ ঘটনার পর দায়িত্বরত সকল আনসার সদস্য তাদের পোশাক খুলে কর্মবিরতি পালন করছে। ফলে এখন নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিস্ট অফিস। যদিও বিষয়টি তড়িঘড়ি সমাধানের জন্য গুটি কয়েক আনসার সদস্যকে নিজের অনুকূলে নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন উক্ত পরিচালক। দুপুর প্রায় পৌনে ১ টার দিকে আনসার সদস্য রুবেল ডিউটি ছিলেন সংশ্লিস্ট অফিসের পাসপোট সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা-বিতরণ শাখা ও দর্শনাথী বিশ্রাম কক্ষের মূল গেইটে।

সহকারী পরিচালক মুধুসুদন সরকারের বক্তব্য, এ সময় রুবেল নাকি নিরাপত্তা জনিত যথাযথ দায়িত্ব পালন না করে নিজস্ব ফায়দা নিতে অন্যত্র ঘোরাফেরা করছিল। তিনি নিজেই তা দেখতে পেয়ে রুবেলের নিকট তার দায়িত্ব পালনে এমন উদাসীনতার কারন জানতে চান তিনি। এ সময় রুবেল নাকি উনার সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়লে তিনি তাকে শাসন করেন।
কিন্তু রুবেলের বক্তব্য, তাকে সহকারী পরিচালক সজোরে চর মারেন। এমন পরিস্থিতিতে আনসার সদস্য ও পরিচালকের পক্ষাবলম্বনকারী সংশ্লিস্ট অফিসের কয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে শুরু হয় হট্রগোল। এ সময় পাসপোর্ট বিতরণ ও গ্রহন কার্যক্রমেও সৃষ্টি হয় মারাত্মক অচলাবস্থা। একপর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসলেও উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে আনসার সদস্যরা পোশাক খুলে কর্মবিরতি শুরু করে এবং পুরো বিষয়টি জেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তাদের নজরে আনেন।

দুপুর প্রায় আড়াইটার দিকে আনসার কর্মকর্তা মুজিবরের নের্তৃত্বে দুই সদস্যের একটি টীম ওই ঘটনা নিয়ে অভিযুক্ত পরিচালক মধুসুদনের সাথে কথা বলতে যান তার অফিসে। জানা গেছে, ওই দু’জন সদস্য সহকারী পরিচালকের নিকট জানতে চান সরকারী সার্ভিস রুল ভঙ্গ করে তিনি কেন অপর একটি সংস্থার কর্মচারীর গায়ে হাত তুললেন। কিন্তু সহকারী পরিচালক তার কোন সদোত্তর না দিয়ে বিষয়টি সমাধানের অনুরোধ জানান। কিন্তু আনসার কর্মকর্তাগন পরিচালকের বক্তব্যে সন্তোষ্ট না হয়ে আক্রান্ত রুবেলকে নিয়ে অফিস কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।

সূত্র মতে, সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে রুবেলকে বাদী করে একটি মামলা দায়ের করতে পারে জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়। এদিকে সহকারী পরিচালক মধুসুদনও তার মত করে এই ঘটনা নিজ দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, প্রায় এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে হবিগঞ্জের উক্ত পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মধুসুদনের বিরুদ্ধে তার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ আনসার সদস্যরা অভিযোগ করে আসছে, তিনি কারনে-অকারনে সকলকে নানা গালাগাল ও হুমকী-ধমকি দিচ্ছেন। এছাড়া সংশ্লিস্ট অফিসে দালালদের আনাগোনাও এখন লাগামহীন পর্যায়ে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *