নিউজ ডেস্ক:: ২০ দলীয় জোট দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সকল গণতন্ত্রকামী দল ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গঠনে একমত পোষণ করেছে। রোববার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের পর ব্রিফিং করে একথা জানিয়েছেন দলের সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম খান। সন্ধ্যা সোয়া ৭ টায় শুরু হওয়া বৈঠক চলে প্রায় এক ঘণ্টা।
নজরুল বলেন, খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, ইভিএম ব্যবহার না করা, নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী নিয়োগ, তারেক রহমানসহ মিথ্যা মামলায় আটক ও মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহার, মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্তদের সাজা বাতিল, বানোয়াট মামলায় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধসহ, ন্যূনতম দাবিতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠায় ২০ দল দেশের সকল গণতন্ত্রকামী দল ও সংগঠনকে আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি বলেন, জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতিতে ২০ দলীয় জোট গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে ইউনাইটেড হাসপাতালে সুচিকিৎসা দেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে। সভায় দেশনেত্রীর চিকিৎসায় অবহেলা করার জন্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়। মূল মামলায় জামিন পাওয়ার পরও তাকে প্রশাসনিক প্রভাবে জেলখানায় আটকে রাখার সরকারি যে অপচেষ্টা তার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি জানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, সভায় দেশনেত্রীর মামলা দ্রুততর করার লক্ষ্যে জেলখানার অভ্যন্তরে আদালত বসানোর তীব্র নিন্দা জানিয়ে সরকারি এই সিদ্ধান্তকে স্বৈরতান্ত্রিক তৎপরতার প্রকাশ বলে মনে করে।
এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, নেত্রী কারাগারে যাওয়ার আগেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং ব্যক্তিকে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমরা সেই বৃহত্তর ঐক্য করার জন্যই কাজ করছি। আজকের ২০ দলীয় জোটের সভায় এটাকে আরও দৃঢ়তর করা হলো। ২০ দল এই ঐক্যকে শুধু সমর্থনই নয়, ঐক্যকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যও কাজ করবে।
যুক্তফন্টের সঙ্গে ঐক্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনার সিদ্ধান্ত যতক্ষণ পর্যন্ত না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আলোচনার স্টেজ বর্ণনা করা যায় না।
সংবাদ সম্মেলনে জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্তাজা, বাংলাদেশ ন্যাপ-এর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, মুসলিম লীগের সভাপতি এএইচ এম কামরুজ্জামান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদের, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমদ, পিপলস লীগের মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি, ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রকিব উপস্থিত ছিলেন।