স্কুল ছাত্রীকে নগ্ন করে ভিডিও

নিউজ ডেস্ক:: নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী ও তার সহপাঠীকে এক রুমে নিয়ে তালাবদ্ধ করে। পরে দুজনকে নগ্ন করে। এর ভিডিও চিত্র ধারণ করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তা প্রকাশের ভয় দেখিয়ে দাবি করা হয় চাঁদা। ঘটনাটি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের এম.এন.উচ্চ বিদ্যালয়ের। স্কুল কক্ষেই ঘটে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আর ঘটনা ঘটায় পোরজনা গ্রামের বখাটে রানা ও হাশেম। স্কুল ছাত্রীর পরিবার জানায়, ছোট মহারাজপুর গ্রামের মোজাম দীর্ঘদিন ধরে পোরজনা বাজারে স্যান্ডেল বিক্রি করে।

তার দোকানের সামনে দিয়েই স্কুলে যাতায়াত করতে হয় স্কুল ছাত্রীকে। আসা যাওয়ার পথে মোজাম প্রায়ই ছাত্রীকে ইভটিজিং করত। কখনো কখনো প্রেমের প্রস্তাব দিত। ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দিত। এমনকি মোবাইল ফোন সেট কিনে দেয়ারও প্রস্তাব দেয়। সবকিছুই ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে ওই ছাত্রী। এতে মোজাম চরম ক্ষিপ্ত হয়। ওদিকে স্কুলছাত্রী তার সহপাঠী শামীমের সঙ্গে প্রাইভেট পড়তে যেতো। ওই ছাত্রী জানায়, মোজাম এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রানা ও হাশেমকে লেলিয়ে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে স্কুল ছুটি হওয়ার পর একটি কক্ষে তাকে ও শামীমকে আটকে রাখে। শামীমের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। ভয় দেখিয়ে তাকে নগ্ন করে। একপর্যায়ে সহপাঠী শামীমের সাথে জোরপূর্বক আপত্তিকর ছবি তোলে ও ভিডিও ধারণ করে। এরপর রানা তার সহযোগীদের নিয়ে শামীমের গ্রামের বাড়ি নন্দলালপুরে যায়। কিন্তু বাড়িতে কাউকে না পেয়ে পাশের বাড়ীর এক মহিলার কাছে মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে আসে যোগাযোগের জন্য। ওই মোবাইল ফোনে শামীমের ভাই যোগাযোগ করলে তাদের কাছে ওই ছাত্র-ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও আছে বলে জানায় এবং প্রথমে ৫ লাখ ও পরে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়।

বিষয়টি জানাজানি হলে, গত ১লা সেপ্টেম্বর দুপুরে বড়মহারাজপুর মসজিদের সামনে জাদুর বাড়িতে আপষ মীমাংসার জন্য দুইপক্ষ এক হলে অভিযুক্ত রানা ভিডিও ধারণ ও টাকা দাবির কথা স্বীকার করে। কিন্তু ওই দিন বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় একপর্যায়ে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্কুল ছাত্রীর বাবা ময়েন জানান, মোজাম ঘটনার মূল হোতা হিসেবে নেপথ্যে কাজ করেছে। রানা ও হাশেমকে দিয়ে অশ্লীল ভিডিওটিকে পুঁজি করে তাদের পরিবারকে ব্ল্যাকমেইল করছে। তার কোমলমতি মেয়ের চরিত্র ও ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে ওরা ছিনিমিনি খেলছেন। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জা খাজা গোলাম কিবরিয়া জানান, থানায় একটি অভিযোগপত্র আমরা পেয়েছি। অভিযুক্ত রানা ও হাশেম বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *