পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার এই কথা বলা যাবে না: দুদক আইনজীবী

নিউজ ডেস্ক::
পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার এই কথা বলা যাবে না, এটি জাদুঘর। এখানে যে কেউ অবাধে প্রবেশ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রথম দিনের বিচার কার্যক্রম শেষে আজ বুধবার দুপুর ১টায় নাজিমুদ্দিন রোডে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদক আইনজীবী বলেন, ‘কারাগারে কোনো বিচার হচ্ছে না। এটা পরিত্যক্ত কারাগার। এখানে যেকোন লোকের ফ্রি অ্যাকসেস আছে। এখানে জাদুঘর আছে, কমিউনিটি সেন্টার আছে। আপনারা জানেন, ১৯৯০ সালে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যখন জেলখানায় ছিলেন তখন গুলশানের একটি ভবনকে কারাগার বানানো হয়েছিল। জেল কোডের বিধান আছে যেকোন বাসভবন, যেকোন স্থানকে কারাগার হিসেবে ঘোষণা তারা দিতে পারেন।’

‘পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার এই কথা বলা যাবে না’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এটি কোনো কারাগার নয়। কারাগারের অংশও নয়, কারাগার হিসেবে বিবেচিতও হয় না। এখানে সব ভবনই পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে, এখানে কেউ বসবাস করে না। জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়, টিকিট কেটে যেকোন লোক প্রবেশ করতে পারে। আপনারা আপনাদের পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে ভিজিট করতে পারেন। মোস্ট ওয়েলকাম।’

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ প্রসঙ্গে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘উনার মামলার জামিন ধার্য তারিখ পর্যন্ত। আজকে পর্যন্ত উনার জামিন আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য উনি যদি আবেদন না করেন তাহলে আদালত আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন। সুতরাং প্রত্যেকের পক্ষে জামিন এক্সটেনশন করার জন্য আবেদন করতে বলেছেন। আদালত খালেদা জিয়াকে বলেছেন আপনি পরে দরখাস্ত দিয়ে দিয়েন।’

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *