২০১৪ সালে তিন মাসের জন্য গঠিত হওয়া সিলেট মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটি চার বছর কাটিয়ে দিলেও সম্মেলন আয়োজন করতে পারেনি। ব্যর্থ হয়েছে সিলেট মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ড কমিটি গঠনেও। এই চার বছরে মাত্র ২০টি ওয়ার্ডের কমিটি করেছে তারা।
এ অবস্থায় সিলেট মহানগর যুবলীগের কমিটিকে শেষ সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংসদ। আগামী ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুবিধাজনক দিনে সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদেরকে।
সোমবার যুবলীগের ট্রাইবুন্যাল কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ট্রাইবুন্যাল কমিটির প্রধান হারুনুর রশীদসহ ট্রাইবুন্যাল কমিটির নেতারা এ নির্দেশ দেন।
সভাসুত্রে জানা যায়- যুবলীগের ট্রাইবুন্যাল কমিটির সভায় সোমবার সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের নেতাদের ডাকা হয়। সেখানে ছিলেন সিলেট মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আলম খান মুক্তি, যুগ্ম আহবায়ক মুশফিক জায়গীরদার,সেলিম আহমদ সেলিম,সাইফুর রহমান খোকন ও আসাদুজ্জামান আসাদ।
ট্রাইবুন্যাল কমিটি তাদেরকে শেষ সুযোগ হিসেবে ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশ দেন। তবে ২৮ সেপ্টেম্বর বাদে। এছাড়া আগামী ১৫ থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাকি ওয়ার্ডগুলোর কমিটি গঠন করে কাউন্সিলরদের তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণ ও স্থানীয় নেতাদের সাথে আলোচনা করে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ব্যপারে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও যুবলীগের সিলেট বিভাগীয় ট্রাইবুন্যাল কমিটির আহবায়ক এডভোকেট বেলাল হোসেন বলেন- সোমবার যুবলীগের ট্রাইবুন্যাল কমিটির সভায় সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের নেতাদের ডাকা হয়। সেখানে মহানগর শাখার নেতাদেরকে আগামী ২৫ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন থাকায় এদিন বাদে সম্মেলন আয়োজন করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন- যুবলীগের ট্রাইবুন্যাল কমিটির সভার সকল সিদ্ধান্ত দলের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি অনুমোদন দিলেই এই সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গৃহিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৭ জুলাই আলম খান মুক্তিকে আহ্বায়ক এবং চারজনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৬১ সদস্যের মহানগর যুবলীগের কমিটি অনুমোদন দেয় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি। এর মেয়াদ বেঁধে দেয়া হয়েছিল ৯০ দিন। এ সময়ের মধ্যে সকল ওয়ার্ডের সম্মেলন করে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছর পরও সেই আহ্বায়ক কমিটিতেই মহানগর যুবলীগের পরিধি আটকে আছে।