নিউজ ডেস্ক:: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে লাশের ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেছে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে স্বামী মো.জনি মিয়ার (২৫) বিরুদ্ধে স্ত্রী দুলি বানুকে (১৮) হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে ইউডি মামলা গ্রহণ করে এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ দিনাজপুর এর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
দুলি বানুর চাচা মো. শাহজালাল জানান, গত ছয়মাস আগে ৪নং শালখুরিয়া ইউনিয়নের পঁচা করঞ্জি গ্রামের রিক্সা চালক দুলাল মিয়ার মেয়ে দুলি বানুর দাউদপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে জনি মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় জনির দাবী অনুযায়ী ৮০ হাজার টাকা যৌতুকও দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর আরও যৌতুকের দাবীতে জনি মিয়া প্রায় দুলি বানুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে শুরু করে।
গত শনিবার রাতে দুলি বানুর পরিবারের কাছে খবর আসে যে, সন্ধ্যা থেকে এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বাড়তি যৌতুকের টাকার জন্য ঝগড়া শুরু হয়। পরদিন সকালে খবর পায় দুলি বানুর বাবা মা নাকি দুলি বানু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জনির বাড়ি হরিরামপুর গ্রামে গেলে প্রতিবেশিরা শাহজালালকে জানায় যে, ঝগড়ার জের ধরে, রাতে জনি মিয়া কয়েক দফা অমানসিকভাবে নির্যাতন করে দুলিকে। সম্ভবত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুলিকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে সকালে জনি মিয়া এলাকাবাসীকে বলতে থাকে যে,দুলি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রেজওয়ানুল হক জানান, মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা অবগত হতে ইউডি মামলার মাধ্যমে লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সামসুল আলম জানান, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে না নিজেই আত্মহত্যা করেছে।