নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা জরুরী বিভাগে কর্মরত ওয়ার্ড বয়, ও ফার্মাসিস্ট দ্বারা

আজিজুল ইসলাম সজীব:: হবিগঞ্জে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সেবাকর্ম নার্স দিয়ে চলছে । কথাটি হাস্যকর দেখালে ও এটাই বাস্তব। ১৩ ইউনিয়ন ও ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা গঠিত।

এই ১৩টি ইউনিয়ন ৯টি ওয়ার্ডের শত-শত লোক এখানে আসেন চিকিৎসা নেয়ার জন্য। কিন্তু এসে সেবা পাবেন তো দুরের কথা এসে নিজ পকেট থেকে ডাক্তার নার্সদের কে দিতে হয় বড় অংকের টাকা তা না হলে জোটে না তাদের কপালে চিকিৎসা সেবা।

শুক্রবার সরজমিনে দেখা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ফার্মাসিস্ট আছেন জরুরী বিভাগে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭জন ডাক্তার থাকা স্বত্ত্বেও কোন ডাক্তারকে দেখা যায়নি সেখানে। অপর দিকে উপরে ডিউটিরত কোন ডাক্তার, নার্স ও আয়া কারও দেখা মিলেনি।

অথচ,নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপ-স্বাস্থ্য কর্মকর্তা-১জন, মান্দারকান্দি ইউনিটে-১জন, ইনাতগঞ্জ-১জন, সরকারী কর্মকর্তা-১জনসহ মোট ৭ জন। অপর দিকে, নার্স ১০জন, ৫টি পোস্ট কালি, আয়া ১জন, ওয়ার্ড বয় ১জন। মোট হসপিটালে কর্মকর্তা কর্মচারী ২৪ জনের স্থলে ১৯ জন কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন। প্রত্যকের ডিউটি বন্টন করা রয়েছে। বাকী ৫টি পোস্ট এখনও খালি রয়েছে। আসন সংখ্যা ১৯টি এবং নতুন বহিঃ বিভাগে আরও ১৯টি সিট রয়েছে যা এখনও উদ্বোধন হয়নি। হসপিটালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীরা ভর্তি রয়েছেন।

সরজমিনে আরো দেখা যায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ডাক্তার রোগী দেখেন পরে বিকালে ও সন্ধার পর হসপিটালের জরুরী বিভাগে কর্মরত ওয়ার্ড বয়, ফার্মাসিস্ট দ্বারা রোগী দেখা হয় তবে ঐ দিন একজন ডাক্তার কে জরুরী বিভাগে পাওয়া যায়নি। উপরে ২য় তলায় গিয়ে দেখা যায় মহিলা ওয়ার্ড, পুরুষ ওয়ার্ড, অফিস কক্ষ কোথাও কোন ডাক্তার ও নার্স কর্মরত নন। এদিকে, নবীগঞ্জ বাজারের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কে দেখা যায় তিনি প্রয়োজনে হাসপাতালের অফিস কক্ষে এসে কাউকে না পেয়ে ফিরে যান।

এরকম প্রতিদিন শত-শত রোগী এসে ডাক্তার ও নার্সদের না পেয়ে ফিরে জান কোন প্রাইভেট ক্লিনিক বা টাকার বিনিময়ে সেবা প্রদানকারী কোন হসপিটাল বা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

অপর দিকে, হসপিটালের কর্মিকে ফার্মেসীতে বসে সময় কাটাতে দেখা গেছে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *