আজিজুল ইসলাম সজীব:: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় পঞ্চায়েতি বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে জুনায়েদ মিয়া (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ ও সিলেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার রইচগঞ্জ বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত জুনায়েদ মিয়া খাগাউড়া গ্রামের আবদুল আউয়াল ওরফে উচা মিয়ার ছেলে। তিনি সাবেক নবীগঞ্জ যুবলীগ নেতা এবং বর্তমানে তিনি একটি প্রাইভেট ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেন্টেটিব (বিক্রয় প্রতিনিধি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার খাগাউড়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতি বিরোধ চলে আসছে। গ্রামের শওকত গ্রুপের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের কোটি টাকার একটি জলমহাল ব্যবহার করে আসছিল। জলমহালের হিসাব চাইতে গিয়ে গ্রামের লোকজন দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়।
এক পর্যায়ে শওকত গ্রুপের লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিরীহ গ্রামবাসী। মামলার অসামী শওকত গ্রুপের চার মাতব্বর কারাগার থেকে ঈদের দুই দিন আগে মুক্তি পান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শওকত গ্রুপের লোকজন খাগাউড়া গ্রামে ঢুকে গ্রামের পাশে রইচগঞ্জ বাজারে এসে নিরীহ গ্রামের কয়েকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে নিরীহ গ্রামবাসী ও শওকত গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ও সিলেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুনায়েদ মিয়ার মৃত্যু হয়।
নিহত জুনায়েদ মিয়ার চাচাতো ভাই জানান, সংঘর্ষের ঘটনার সময়ে জুনায়েদ তার মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি যাচ্ছিল তখন হঠাৎ করেই ছুরিকাঘাত হয়ে মোটরসাইকেল থেকে পরে যায়। পরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে মারা যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী, বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী ও ওসি (তদন্ত) দস্তগীর আহমদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাৎক্ষণিক সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।