আজিজুল ইসলাম সজীব:: শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুরে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে এক ডাকাতকে আটক করে গণ ধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। ১৯ আগষ্ট রবিবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে এক ডাকাতকে আটক করা হয় এ সময় বাকী ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, নূরপুর গ্রামে মো:বাবর আলী ঘরে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকার প্রস্তুতিকালে ঘরের মালিক বাবর আলী শব্দ শুনার সঙ্গে সঙ্গে ডাকাত ডাকাত চিৎকার দিলে বাড়ির মানুষ বাহির হয়ে ডাকাত দলকে ধাওয়া করে।এক পর্যায়ে ডাকাত দলগুলো পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং ডাকাত ডাকাত চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ডাকাত দলকে ধাওয়া করে একপর্যায়ে নছরতপুর গেইট নামক স্থানে পৌঁছলে এক ডাকাত কে স্থানীয় জনতার হাতে আটকে পরে কিন্তু বাকী ডাকাতগুলো পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আটককৃত ডাকাতের ঠিকানা লাখাই উপজেলার সিংহ গ্রামের বলে জানিয়েছে তবে তার সাথে থাকা সঙ্গীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সাথে থাকা বাকী ডাকাতগুলোর নাম ঠিকানা জানা যায় নি।
আরো জানা যায়, ডাকাত দলটি নাকি দুইভাগে বিভক্ত হয়ে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নেয় এবং তাদের সঙ্গে থাকা একদল ডাকাত নাকি নূরপুর ইউনিয়নের সুরাবই গ্রামের আব্দুল করিমের ঘরের থাকা গরু বিক্রির ৫০ হাজার টাকা নগদ, সর্ণা-লংকার, এলসিডি টিভিসহ মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে আসে।
নূরপুর গ্রামের বাবর আলী জানান, গত রবিবারে বিকালে সুতাং বাজারে তার পালিত একটি গরু বিক্রি করেন তিনি । এই গরুর টাকা নেওয়ার জন্যই তার ঘরে ডাকাতি করতে হয়ত ডাকাতরা এসেছিল। নূরপুরে ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সঙ্গে থাকা একটি এলসিডি টিভি উদ্বার করা হয় ।
পরে এ শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দিলে শায়েস্তাগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে টিভিসহ জনতার হাতে আটক ডাকাতকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মোঃ মানিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়রা এক ডাকাতকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।