গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ওই বাজারে ওই বাজারের ভাড়াটিয়া আঙ্গুরা খাতুনের মেয়ে যুবতি তানিয়া আক্তারের ঘরে ঢুকে কেউ না থাকার সুযোগে তাকে যৌন হয়রনীর চেষ্টা চালায়। এ সময় তানিয়ার চিৎকারে ব্যবসায়ীরা এগিয়ে তাকে আটক করে। এ সময় পুলিশের হাতে দিতে চাইলে গ্রামের মানইজ্জত যাবে বলে তাকে পুলিশে না দিয়ে বাজারে এক সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টায় রসুলগঞ্জ বাজারে এক বিশাল সালিশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ শেকুল ইসলাম চৌধূর্,ী সেক্রেটারী মোঃ শামছুল হক চৌধুরী, নবীগঞ্জ ৮নং ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মোক্তাদির চৌধুরী, বর্তমান মেম্বার ভুট্টু মিয়া, সাবেক মেম্বার হারুন মিয়াসহ প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী। সালিশে জামালকে দোষী সাব্যস্থ করে ১০ হাজার টাকা জরিমান এবং গামছা গলায় দিয়ে সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
সাথে সাথেই জরিমানার টাকা পরিশোধ করা হয়। এ ব্যাপারে বাজার কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারী জানান, ওই যুবতিকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ তাকে উপরোক্ত আদেশ দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে সে রকম করবেনা বলে অঙ্গীকার করে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় রসালো আলোচনা সমালোচনা চলছে। তানিয়া পশ্চিম তিমিরপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।