আজ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মদিন

নিউজ ডেস্ক::
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আজ ৮৮তম জন্মবার্ষিক আজ। গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯৩০ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।

ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ডাক নাম ছিল ‘রেনু’। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। দাদা শেখ কাসেম চাচাতো ভাই শেখ লুৎফর রহমানের ছেলে শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বেগম ফজিলাতুন্নেছার বিয়ে দেন। তখন থেকে বেগম ফজিলাতুন্নেছাকে শাশুড়ি বঙ্গবন্ধুর মা সাহেরা খাতুন নিজের সন্তানদের সঙ্গে মাতৃস্নেহে লালন-পালন করেন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে তিনি প্রাথমিক লেখাপড়া করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে জাতির পিতা হত্যাকারীদের নিষ্ঠুর, বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে তিনিও শাহাদাতবরণ করেন।রাষ্ট্রপতির বাণী

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে তাঁকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়েছেন। এমনকি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তিনি অসীম ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। আমাদের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রপতি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীতে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, মহীয়সী নারী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন যোগ্য ও বিশ্বস্ত সহচর। দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি জাতির পিতার সঙ্গে একই স্বপ্ন দেখতেন। এ দেশের মানুষ সুন্দর জীবনের অধিকারী হোক, ভালোভাবে বেঁচে থাকুক- এ প্রত্যাশা নিয়েই তিনি বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামে সবসময় তৎপর ছিলেন।

আজকের কর্মসূচি
দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আওয়ামী লীগ আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় বনানী কবরস্থানে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলো এ কর্মসূচিতে অংশ নেবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিবসটি উদ্যাপনের লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে প্রধান অতিথি থাকবেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সড়ক মোড় ও সড়ক দ্বীপসমূহ সজ্জিত করা হয়েছে এবং ফেস্টুন ও বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে। দিবসটি উপলক্ষে একটি স্মরণিকাও প্রকাশ করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল আজ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মৃতি স্বর্ণপদক, বৃত্তি, স্মৃতি বক্তৃতা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *