শ্বশুর বাড়িতে প্রবাসির রহস্যজনক মৃত্যু…

নবীগঞ্জ উপজেলার ঝিটকা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে এক প্রবাসির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে তার পরিবারের দাবী পরকিয়া প্রেমের কারণে তার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করেছে।

এনিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে, দাফন করার সময় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ওই প্রবাসির ভাই একই উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ভরপুর গ্রামের ছোয়াব উল্লাহর পুত্র আব্দুস সালাম (৫০) ৩০ বছর আগে সে ইরান চলে যায়।

গত বছরের ২০ আগস্ট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় দেবপাড়া ইউনিয়নের ঝিটকা গ্রামের আব্দুল বারিকের ১৮ বছরের সুন্দরী যুবতি কন্যা মালেকা আক্তারের সাথে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মোবাইল ফোনে ইমুর মাধ্যমে এক জন আরেকজনকে দেখে দিওয়ানা হয়ে উঠে। এ বছর ফেব্রুয়ারী মাসে মোবাইল ফোনে তাদের বিয়ে হয়। আজ থেকে তিন মাস আগে আব্দুস সালাম দেশে ফিরে এসে মালেকাকে তার বাড়িতে আনে। সেখানে ১৫ দিন ঘর সংসার করার পর বিষয় সম্পত্তি বিক্রি করে প্রায় ৩০/৩৫ লাখ টাকা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে চলে যায় সালাম। সেখানে সে মালেকাকে নিয়ে বসবাস করে আসছে। কিন্তু আব্দুস সালাম জানত না যে তার স্ত্রীর পরকিয়া রয়েছে। প্রায়ই এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হত। বিষয়টি মোবাইল ফোনে সালাম তার ভাই সুনা মিয়াকে জানাত। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার সময় আব্দুস সালামের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। এদিকে, সালামের আত্মীয় স্বজনদেরকে না জানিয়েছে মালেকা তার স্বজনরা তড়িগড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি এলাকার লোকজন আচ করতে পেরে সালামের বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়। পরে সেখানে তার আত্মীয় স্বজনরা গিয়ে দাফন করতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। কোন সুরাহা না পেয়ে তারা গোপলা বাজার পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মজিবুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করলে মজিবুর রহমান সাথে সাথে বাহুবল ও নবীগঞ্জের সার্কেল এএসপিকে বিষয়টি জানায়। সার্কেল এএসপিসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে মালেকা ও তার পরিবারের লোকজন লাশ রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

শুক্রবার সকালে এসআই মুজিবুর রহমান লাশের ছুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তিনি জানান, লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মুত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। সালামের চাচা জানান, তার স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে সব টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তিনি নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করবেন। নবীগঞ্জ থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *