আরিফ নিজের জীবন দিয়ে জনগণের মন জয় করেছে : খসরু

নিউজ ডেস্ক::
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সালাম, বরকত ভাষা আন্দোলনে জীবন দিয়ে এবং ডাক্তার মিলন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করে যেমন আমাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন, সেভাবে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক আরিফ তার জীবন দিয়ে এদশের যুব সমাজের, জনগণের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ঢাকা মহানগর ছাত্রদল সভাপতি খন্দকার এনামুল হক এনামের মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ঢাকাস্থ ফেনী জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্র-যুব ফোরাম।

খসরু বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের যুগ্ম সম্পাদক আরিফের লাশ নদীতে পাওয়া গেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন একটি অরাজনৈতিক বিষয়। দেশের ভবিষ্যৎ মেধা স্থাপনের আন্দোলন, সেই আন্দোলনের নেতাকে ধরে নিয়ে মেরে নদীতে ফেলে দিয়েছে। তাহলে কেমনে এই দেশে বাস করবেন? এই দেশে বাস করতে হলে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। তা না হলে আরিফের মতো মরতে হবে।’

খসরু বলেন, ‘একটা সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল। কিন্তু বর্তমানের দেশের প্রতিটি মানুষই খুন গুম হত্যা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এটা হবে, এর কারণ আছে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার একজন একজন করে ধরে নিয়ে মারছে। এই দানব সরকারের হাত থেকে কেউ রক্ষা পাবে না এমনকি আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা গণতন্ত্রকামী তারাও রেহাই পাবে না।’

খসরু বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কেন জেলে রাখা হয়েছে তা বাংলাদেশের জনগণের কাছে পরিষ্কার। কারণ বিএনপি একনায়কতন্ত্র থেকে বাংলাদেশকে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক দেশে এ পরিণত করেছিল। আর স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটিয়েছিলেন এই নেত্রী। তিনি দেশে আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চেয়েছেন বলেই তাকে জেলে আটকে রেখেছে।’

বর্তমনার সরকার জনগণের ওপর নির্ভরশীল নয় দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তাদের রাজনীতিক নির্ভরশীলতা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশের একটি অংশের ওপর। আর বিএনপির নির্ভরশীলতা পুরোপুরি জনগণের ওপর।’

তিনি বলেন, ‘একাত্তরের পরে আওয়ামী লীগই একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। দেশে আজ সেই একই অবস্থা সৃষ্টি করেছে।’

খসরু বলেন, ’৭৫ সালে পতন হওয়ার পরে তারা জনগণের দুয়ারে তসবিহ নিয়ে তদবির করেছে, ভিক্ষা করেছে। এবার তাদের পতন হলে সেটাও করতে পারবে না।’

দলীয় নেতাকর্মীদের একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পদ পদবী নয় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কী পেলাম, কী পেলাম না অনেকের মূল্যায়ন হয় নাই। মূল্যায়ন না হওয়ার কারণে পিছু হটে যাবে না। স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে বিদায় করার আগ পর্যন্ত মূল্যায়নের কথা ভুলে যান। কেউ বাঁচতে পারবেন না ঐক্যবদ্ধভাবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত রকতে হবে, তারেক রহমানের ফিরিয়ে আনতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নিরপক্ষে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় যাবে। ক্ষমতায় গিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে জনগণের মতামত নিয়ে এককভাবে নয় জনগণণে সম্মান দেখিয়ে তা ঠিক করা হবে।

আয়োজক সংগঠনের সমন্বয়ক ওমর ফারুক ডালিমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সহ-প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রেহেনা আক্তার রানু প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *