রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলেই মুক্তি পেতে পারেন খালেদা: মোশাররফ

নিউজ ডেস্ক:: ‘মুক্তি পেতে খালেদাকে দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ।

তিনি বলেছেন, আদালত খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডদিয়েছে। তাকে মুক্তি দিতে পারেন একমাত্র রাষ্ট্রপতি। তবে এ জন্য তার (খালেদা) নিজের দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবেই রাষ্ট্রপতি তার আবেদন গ্রহণ করতে পারবেন।

শনিবার বিকেলে ফরিদপুর শহরের জনতা ব্যাংকের মোড়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জনসভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ উপস্থিত সবার কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, তবে রাষ্ট্রপতি খালেদা জিয়াকে ক্ষমা করুক এটা আপনারা চান কি-না? এসময় উপস্থিত জনতা ‘না’, ‘না’ ধ্বনি দেন।

মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল তখন জাতীয় আয় ছিল ৫৩৬ ডলার। আজ নয় বছর পর তা বেড়ে এক হাজার ৭০০ ডলার হয়েছে।

‘আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা না জিতলে দেশের প্রবৃদ্ধি কমে যাবে’- মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাহলে আমাদের মাথাপিছু আয় আবার ৫৩৬ ডলারে নেমে যাবে। এজন্য উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ১৯৭৩ সালে ফরিদপুর সদর আসন থেকে আ.লীগ বিজয়ী হওয়ার পর ৩৫ বছর আ.লীগ এ আসনে জিততে পারেনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিনি যে উন্নয়ন কাজ ফরিদপুরে করেছেন তা বিগত কোন সময়ে হয়নি।

তিনি বলেন, তবে আগামীতে কোন নির্বাচনেই ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে হারবে না আ.লীগ।

মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সমর্থন ছাড়া এ উন্নয়ন তার পক্ষে করা সম্ভব ছিল না। এ জন্য আগামী ডিসেম্বরের নির্বাচনে এ আসন থেকে আ.লীগ প্রার্থী না জিতলে তা হবে শেখ হাসিনার সাথে নেমকহারামি করা এবং আমরা আমাদের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকবো।

মন্ত্রী প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, তবে আজ যে জনসমাগম হয়েছে তাতে আমি আশাবাদী আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকার আবার ক্ষমতায় আসবে।

মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচনের পর ফরিদপুরে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।

সভায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শওকত আলী জাহিদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম ফোয়াদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ফাইন প্রমুখ।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *