আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: পাকিস্তানের ১১তম সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পর এখন চলছে গণনা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সর্বশেষ পাওয়া ৪৭ শতাংশ ভোটকেন্দ্রের ফলাফলে বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। দেশটিতে জাতীয় পরিষদের ২৭২ আসনে সরাসরি ভোট গ্রহণ হয়। কোনো দলকে সরকার গঠনের জন্য সরাসরি ভোটে ১৩৭ আসনে বিজয়ী হতে হবে।
ডনের তথ্যযায়ী, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের (এনএ) ১১৪টি আসনে পিটিআই এবং ৬৮টি আসনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) বা পিএমএল (এন) এগিয়ে আছে আর বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এগিয়ে আছে ৪২টি আসনে।
ব্যাপক বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে-বাইরে প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার সেনাসদস্যের বিতর্কিত উপস্থিতির মধ্যেই বুধবার পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়।
এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। ২৭২ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট তিন হাজার ৪৫৯ প্রার্থী। দেশটির প্রায় ১০ কোটি ৬০ লাখ নিবন্ধিত ভোটারের রায়ে এখন নির্ধারিত হবে কে হচ্ছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী।
এবারের নির্বাচনকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই পাকিস্তানে একবার বেসামরিক, একবার সামরিক- এভাবেই শাসনের পালা চলছে। তবে দেশটির ইতিহাসে এবারই দ্বিতীয়বারের মতো এক বেসামরিক সরকার পূর্ণ মেয়াদ শেষে আরেক বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে যাচ্ছে।