ওসমানী হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে ইন্টার্ন চিকিৎসকের ‘ধর্ষণ’

নিউজ ডেস্ক:: সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্তৃক রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৬ জুলাই) ভোর রাতে হাসপাতালের তৃতীয় তলার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মাকামে মাহমুদ ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা এলাকারা মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেলের ৫১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

ভিকটিম নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে জানা যায়।

অভিযুক্তের স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, নগরের বনকলা পাড়ার বাসিন্দার রোগীর সঙ্গে আসেন ওই নারী। ভিকটিম তার নানিকে নিয়ে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ছিল। সেই ওয়ার্ডে চিকিৎসক না থাকায় রোগীর নাতনি ভোর রাত ৩টার দিকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে যান। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসক মাকামে মাহমুদ মাহিম তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে হাসপাতালে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

পরবর্তীতে সকাল ৮টার দিকে মেয়ের বাবা-মা ওসমানী মেডিকেলের পরিচালকের কাছে মাকামে মাহমুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এর পর হাসপাতালের চিকিৎসক, পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজনদের মধ্যে বৈঠক হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত বৈঠক চলে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার গোলাম কাউসার দস্তগীর বলেন, ‘মাকামে মাহমুদকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ভিকটিমকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম মাহবুবুল হক এ ব্যাপারে বলেন,  ‘ভিকটিমকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। মাকামে মাহমুদকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিকালে তদন্ত কমিটি হবে। এছাড়া সব ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ফুটেজ সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *