সিলেটে কুখ্যাত ভূমিদস্যু ও প্রতারক সেলিম ও সহযোগী মালেক কারাগারে

নগরীর আখালিয়া নয়াবাজারের আলোচিত ভূমিদস্যু প্রতারক সেলিম আহমদ ওরফে বোতল সেলিম ও তার সহযোগী চাচাতো ভাই আব্দুল মালেককে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার (১৬ জুলাই) অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। সেলিম আহমদ ওরফে বোতল সেলিম নগরীর আখালিয়া নয়াবাজারের মৃত আব্দুর রহিম চুনু মিয়ার ছেলে ও আব্দুল মালেক আখালিয়া নয়াবাজারের মৃত সুনু মিয়ার ছেলে।

শিশু অপহরণ, জমি আত্মসাত ও জালিয়াতির একটি মামলায় (সিআর ৬১৫/১৭) আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সেলিমের বিরুদ্ধে ভূমিদস্যু, অপহরণ, চাঁদাবাজি, প্রতারণা সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জালালবাদ থানা সূত্র জানিয়েছে। সেলিম ওরফে বোতল সেলিম জেলে প্রেরণ করায় এলাকায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এলাকার শান্তিকামী মানুষ তার বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। বোতল সেলিমকে জেলে প্রেরণের খবরে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।

উলে­খ্য যে, আসামী সেলিম আহমদ অত্র এলাকার কুখ্যাত ভূমিখেকো, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবাজ। শুধু তাই নয়, ১৯৮৫ইং সালের ১২ আগস্ট বৃহত্তর আখালিয়ার প্রক্যাত বাঘ শিকারী, দাবাড়– ও চিরকুমার বীরেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য হত্যার প্রধান আসামী ছিল সেলিমের পিতা আব্দুর রহিম চুনু মিয়া। তাকে হত্যা করে তাহার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি দখল করে নেয় তার পিতার। এই সম্পত্তিটি ডিসির খতিয়ানে বিপি সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে একটি বৌদ্ধ মন্দির, একটি হিন্দু আখড়া, শুটিং ক্লাব, একটি হাই স্কুল ও হেলথ কমপ্লেক্স বীরেশ চন্দ্রের নামে নামকরণ করা হয়। বাকী অবশিষ্ট সম্পত্তি সেলিম আহমদ দখল করে মার্কেট করে।

এলাকায় প্রভাবশালী ও লাঠিয়াল বাহিনী হওয়ায় এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্মম নির্যাতন চালায়। অত্র সম্পত্তির উপর বসতবাড়ি ভিটা পুকুর দখল করে আনরেজিস্টার্ড চুক্তিনামা করে প্লট বিক্রি করে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *