নিজস্ব প্রতিনিধি :: গত বছর ঢলের পানিতে এই সড়কের অধিকাংশ জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবারো সুরমা নদীর পানি উপচে বেশ কয়েকটি জায়গায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। খানাখন্দে ভরে গেছে সড়ক। কিন্তু সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। এই এক সড়কের কারণেই সারা বছর আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।
শহরের নবীনগর এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী অ্যাড. নূরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল এ প্রতিবেদককে কথাগুলো বলছিলেন। শুধু উজ্জ্বল নন সুনামগঞ্জ শহরের ১নং ওয়ার্ডের নবীনগর-ধারারগাঁও সড়কের বেহাল দশার কারণে সুরমার উত্তরপাড়ের প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে প্রতিদিন চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
নবীনগর-ধারারগাঁও সড়কে দীর্ঘদিন ধরে অটোরিকসা চালান মো. আলমগীর। আলমগীরও সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, সন্ধ্যার পর নবীনগর, ধারারগাঁও, গুধারগাঁও, খামতিয়র এলাকায় আমরা অটোরিকসা চালাই না। তার একটাই কারণ রাস্তার বেহাল দশা। যেকোন সময় গর্তে পড়ে আমরা মরমু, যাত্রীও মরবো।
ধারারগাঁও এলাকার বাসিন্দা রাজন মাহবুব বলেন, সুরমা নদীর পানি উপচে প্রতি বছর আমাদের এই সড়কটি তলিয়ে যায়। পানি কমে গেলে সড়কের ক্ষত-বিক্ষত চেহারা ভেসে উঠে। বছরের পর বছর এই অবস্থা চললেও কর্তৃপক্ষ সড়কটি উঁচুকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে আমাদের ভোগান্তিও শেষ হচ্ছে না।
কলেজ ছাত্র ফরহাদ আহমদ বলেন, নবীনগর পয়েন্টের পরে আর অটোরিকসা, রিকসা চালকরা আসতে চায় না ‘রাস্তা ভালো না’ অজুহাতে। তাদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু প্রতিদিন বাড়তি ভাড়া দেয়া আমাদের মতো শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব না। আমরা চাই সড়কটি দ্রুত মেরামত করা হোক।
কৃষ্ণনগর এলাকার বাসিন্দা শামীম আহমদ বলেন, নদীর উত্তরপাড়ে কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক লোকের বসবাস। যেকোন প্রয়োজনেই আমাদের জেলা শহরে আসতে হয়। শহরে আসতে গেলেই ভাঙাচুরা সড়কে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। বিশেষ করে রোগী হাসপাতালে নিয়ে যেতে আমাদের দুর্ভোগের সীমা ছাড়িয়ে যায়।
এছাড়া ব্যবসায়ীরা মালামাল আনতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। বাড়তি পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের। নবীনগর এলাকার মনোয়ারা বেগম বলেন, রাস্তায় দুই পাশে গর্ত, ছোট ছোট শিশুরা খেলাধুলা করতে গেলেও ভয়ে থাকি যদি গর্তে পড়ে যায়। প্রতিদিনই এই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটে। আমাদের দাবি, দ্রুত যেন সড়কটি মেরামত করা হয়।
১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র হোসেন আহমদ রাসেল বলেন, সামনে আমাদের পৌরসভায় উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। কাজ শুরু হলে কোনো সড়কই ভাঙাচুরা থাকবে না। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমে যাবে।