রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃক্ষরোপণকে উৎসাহিত করেছেন

ধর্মকর্ম ডেস্ক :: গাছ ছাড়া কোনো প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে না। মহান আল্লাহর সৃষ্টিবিধান মতে এটিই চিরন্তন সত্য। প্রাণিকুল বেঁচে থাকার প্রধান ও মূল উপকরণ হলো অক্সিজেন; যা গাছ থেকেই উৎপন্ন হয়। মানুষ শ্বাস-প্রশ্বাসে অক্সিজেন গ্রহণ এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিত্যাগ করে। গাছ সেই দূষিত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ এবং প্রাণিকুলের জন্য (বেঁচে থাকার মূল উপকরণ) অক্সিজেন বিতরণ করে।

আল্লাহ তায়ালা গাছের সবুজ পাতার ক্লোরোফিল ও সূর্যের আলোর সমন্বয়ে এক ধরনের রন্ধন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইডকে অক্সিজেনে পরিণত করেন। শুধু তাই নয়, নদী ও সমুদ্রপাড়ের প্রাণিকুলের জন্য গাছ ঢালস্বরূপ। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা যে কোনো প্রলয়ঙ্করী দুর্যোগ আঘাত হানলে সর্বপ্রথম তা মাথা পেতে নেয় বৃক্ষ বা গাছ। তাই এ কথা সর্বজনবিদিত, প্রাণিকুলের সুরক্ষা ও পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় গাছের গুরুত্ব অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃক্ষরোপণের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করতেন। হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি বৃক্ষরোপণ করে, অতঃপর সেই বৃক্ষে যত ফল উৎপন্ন হয়, আল্লাহ উৎপাদিত ফল পরিমাণ সওয়াব তার আমলনামায় প্রদান করবেন।’ মুসনাদে আহমাদ।

হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো মুসলমান বৃক্ষরোপণ করল, অতঃপর তার থেকে যতটুকু অংশ ভক্ষণ করা হয়, তা বৃক্ষরোপণকারীর জন্য সদকা হয়ে যায়। আর যে অংশটুকু চুরি হয়ে যায়, তাও তার জন্য সদকা হয়ে যায়। যে অংশ হিংস্র জন্তু খায়, তাও তার জন্য সদকা হয়ে যায়। আর যতটুকু অংশ পাখি খায়, তাও তার জন্য সদকা হয়ে যায়। অর্থাৎ যে কেউ ওই গাছ থেকে সামান্য কিছু ফল ভক্ষণ করে, রব্বুল আলামিন এর বিনিময়ে বৃক্ষরোপণকারীকে সদকার সওয়াব দান করেন।’ মুসলিম।

প্রকৃতির স্রষ্টা আল্লাহতায়ালার বিশেষ নিয়ামত হলো বৃক্ষ বা গাছ। বৃক্ষ প্রাণিকুলকে রোদের প্রচণ্ড তাপ থেকে ছায়া দান করে। আমরা যত সুস্বাদু ফল-মূল ভক্ষণ করি, এগুলো সবই বৃক্ষ থেকে উৎপাদিত। মানবদেহের মরণব্যাধি অনেক রোগের ওষুধ এই বৃক্ষ থেকেই তৈরি। প্রিয় নবী (সা.) যখন যুদ্ধের জন্য বাহিনী প্রেরণ করতেন, তখন তাদের বলতেন, ‘সাবধান! বিনা কারণে বিজিত অঞ্চলের কোনো বৃক্ষ কর্তন করবে না।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *