সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য দলের সঙ্গে মাঠে থাকবে ১৪ প্লাটুন বিজিবি। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খসড়া পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে কমিশন। সিটি নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ওই বৈঠক সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নিরাপত্তা ছক চূড়ান্ত করে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসকে জানানো হবে।
ওই বৈঠকে পুলিশের আইজি, র্যাবের ডিজি, বিজিবি, আনসার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা বৈঠকে অংশ নেবেন। নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও সিলেট সিটির রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন-পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। ওই বৈঠকে সংশ্লিষ্টদের অভিমত নিয়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের ছক চূড়ান্ত করবে ইসি।
সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে নির্দেশনা আসার পর পরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছক চূড়ান্ত করা হবে। সিলেট থেকে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর খোঁজখবর নিয়ে ইসিকে তথ্য দেয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোবাইল ফোর্স এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের টিম এবং বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকছেই। তবে সব কিছুই এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
জানা যায়, ভোটের আগের দুই দিন থেকে ভোটের পরদিন পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ওই তিন সিটিতে দলীয় প্রতীকে প্রথম সিটি ভোট হওয়ায় এখানে বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে বেশি হারে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স এবং প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের টিম এবং বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হবে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটের দুই দিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে একদিন মিলিয়ে চার দিন মাঠে থাকবে।
স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র্যাব-পুলিশের টিম ও কয়েক প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রাখার সুপারিশও করেছে ইসি সচিবালয়। এছাড়া প্রচারণার সময় প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে নামার পর তাদের নেতৃত্বে নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করবে ইসি।