কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় ছাত্রলীগের হামলা

নিউজ ডেস্ক:: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় হামলা করেছে ছাত্রলীগ। সোমবার সকাল থেকে বেশ কয়েকবার কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলেও ছাত্রলীগের মারধোরের শিকার হয়ে এলাকা ছেড়েছেন আন্দোলনকারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল পৌনে এগারোটার দিকে শহীদ মিনার এলাকায় অর্ধশত কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী সমাবেশ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের বিশ-পঁচিশজন কর্মী এসে হামলা চালায়। এ সময় হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তার অনুসারি কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে কোটা আন্দোলনকারীদের পেটাতে দেখা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েন।

পরে আবার সংঘটিত হয়ে সমাবেশ করা শুরু করলে আবারও টানা হেচড়া শুরু হয়। নারী আন্দোলনকারীদের ওপরও চড়াও হয়। ফারুক নামের এক আন্দোলনকারীকে চার-পাঁচজন ছাত্রলীগ চড় থাপ্পড় মারার সময় এক নারী বাঁচাতে এলে তার ওপরও হামলা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা।

এ বিষয়ে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ন আহ্বায়ক লুৎফুর নাহার নীলা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলা করেছে ছাত্রলীগ। নায্য অধিকার আদায়ের এ আন্দোলনে ছাত্রলীগ হামলা করে প্রমাণ করেছে তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নেই। তিনি এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, ছাত্রলীগ দফায় দফায় হামলা করলেও প্রশাসন-পুলিশ নীরব। উল্টো আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হচ্ছে।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানি বলেন, কাউকে মারধোর করা হয়নি। আন্দোলনের নামে তারা লাঠিসোটা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। আমরা তা প্রতিহত করেছি মাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করা ছাত্রলীগ কর্মীদের দায়িত্ব বলে জানান তিনি।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *