নিউজ ডেস্ক:: প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে গোপনে বিয়ে করে প্রতারিত হয়ে লুসি (১৬) নামে এক মাদ্রাসার ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। সে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের মধ্য কাকড়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের কন্যা ও কাকড়া শুকানদিঘী দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্রী। শনিবার (৩০ জুন) ছাত্রীটির লাশ নীলফামারী মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক করবস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মেয়েটির পিতা আতিয়ার রহমান বলেন, লুসি গোপনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে পঞ্চগড়ের জিয়াউল ইসলাম নামে একজনকে বিয়ে করেছে মর্মে জানতে পারি। জিয়াউলের ঠিকানা ও পরিবার সম্পর্কে এর বেশি কোন তথ্য আমরা জানি না। শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি লোক মাধ্যমে জানতে পেরে আমি মেয়ে লুসিকে কাছে ডেকে বিষয়টি জানতে চাইলে সে আমাদের সাথে কোন কথা না বলে মোবাইলে জিয়াউলকে জানান তার পরিবার বিয়ের বিষয়টি জেনে গেছেন। এ সময়ে জিয়াউল বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করলে তাদের দুজনের মধ্যে ফোনেই দীর্ঘক্ষন ঝগড়া হয়। পরবর্তীতে বাড়ির লোকদের অগোচরে শোয়ার ঘরে বিকাল ৫টায় গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেন। মোবাইল প্রেমের সুত্রে জিয়াউলকে গোপনে বিয়ে করলেও পরিবারের লোকজন বিষয়টি প্রথমদিকে কিছুই জানত না।
লুসির মা ফুল বানু বলেন, জিয়াউল লুসিকে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করায় তার মেয়ে প্রতারিত হয়েছে মর্মে আত্মহত্যার পথ বেচে নিতে বাধ্য হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ছাত্রীটির পিতা আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে ডিমলা থানায় অপমৃত্য মামলা নং-১৩ দায়ের করেন। নাউতারা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম লেলিন বলেন, ছাত্রীটি মোবাইলে প্রেমের সুত্রে গোপনে বিয়ে অতঃপর অস্বীকার করায় আত্মহত্যা করেছে মর্মে তিনি শুনেছেন।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, এ ঘটনায় নিহত ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তদন্তের মাধ্যমে কাউকে জড়িত পেলে খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।