নিউজ ডেস্ক:: সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা সংস্কার আন্দোলেনের নেতা নুরুল হক নূরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
রোববার সকালে তিনি কয়েকবার রক্তবমি করেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
তিনি বলেন, গতকাল ছাত্রলীগের হামলার পর প্রথমে নূরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নূরকে কোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জানতে চাইলে নিরাপত্তার স্বার্থে তা বলতে চাননি মামুন। তবে তিনি বলেন, নূরের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি বেশ কয়েকবার রক্তবমি করেছেন। আজ সকাল ৮টায়ও তিনি রক্তবমি করেন। ছাত্রলীগের মারধরে নূর মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তার সারা শরীরেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ অবস্থায় নূরকে দ্রুত সুস্থ করতে চেষ্টা চলছে বলে জানান সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক।
তিনি জানান, এরই মধ্যে নূরের সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। এখনও রিপোর্ট হাতে আসেনি। রিপোর্ট পাওয়ার পর তার অবস্থা জানা যাবে।
নূরের চিকিৎসার ব্যাপারে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এর পর তাকে কোথায় ভর্তি করা হয়েছে তা জানি না। তবে তার চিকিৎসার ব্যাপারে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত বলে জানান ঢাবি প্রক্টর। সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা বাতিলে সরকারি ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়ায় শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিল ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলন শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক নূরসহ সাত শিক্ষার্থী আহত হন। ওই সময় নূরকে আটকে রেখে উপর্যুপরি লাথি-ঘুষিসহ বেধড়ক মারধর করা হয়। বাঁচার জন্য নূর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. জাভেদ আহমেদকে জড়িয়ে ধরেন।
এরপরও হামলাকারীরা থামেনি। তারা নূরের পাশাপাশি শিক্ষক জাভেদকেও মারধর করতে থাকে। এতে তার হাতের একটি আঙুল কেটে যায়।
এই হামলার প্রতিবাদে রোববার থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অনির্দিষ্টকালের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।