খেলাধুলা ডেস্ক::২০১৮ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডের খেলা চলছে। এখন পর্যন্ত ১১টি দল পরের পব নিশ্চিত করেছে, বাকি রয়েছে আরো ৫টি স্থান।
সমান পয়েন্ট পাওয়া, সমান গোল ব্যবধান বা সমান সংখ্যক গোল করা দলের ক্ষেত্রে ফিফা যে নিয়ম মেনে চলে:ফিফা বিশ্বকাপে গ্রুপে র্যাঙ্কিংয়ের নিয়ম (ক্রমানুসারে)
১. সংশ্লিষ্ট দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশী পয়েন্ট পাওয়া দল পরের রাউন্ডে যাবে
২. সংশ্লিষ্ট দলগুলোর পয়েন্ট সমান হলে গ্রুপ ম্যাচের গোল ব্যবধানের ভিত্তিতে এগিয়ে থাকা দল পরের রাউন্ডে যাবে
৩. পয়েন্ট এবং গোল ব্যবধান সমান হলে কোন দল বেশী গোল করেছে সেই হিসেব বেশী গোল করা দল পরের রাউন্ডে যাবে
এই হিসাবে সব দল সমান হলে…
৪. হলুদ কার্ড ও লাল কার্ডের ভিত্তিতে গ্রুপের সব ম্যাচ শেষে ফিফা ফেয়ার প্লে নীতি অনুযায়ী যে দলের পয়েন্ট বেশী হয়। কার্ডের ভিত্তিতে নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে প্রত্যেক দলের পয়েন্ট কাটা হয়:প্রথম হলুদ কার্ড: -১ (মাইনাস ১) পয়েন্ট;দ্বিতীয় হলুদ কার্ড/পরোক্ষ লাল কার্ড:-৩ (মাইনাস ৩) পয়েন্ট;সরাসরি লাল কার্ড:-৪ (মাইনাস ৪) পয়েন্ট;হলুদ কার্ড ও সরাসরি লাল কার্ড: -৫ (মাইনাস ৫) পয়েন্ট;
কার্ডের ভিত্তিতেও একাধিক দলের পয়েন্ট সমান হলে…
৫. ফিফা ব্যবস্থাপক কমিটির পরিচালিত ড্র’য়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে পরের পর্বে কারা যাবে
গ্রুপ এ – চূড়ান্ত
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরের পর্বে উঠেছে উরুগুয়ে। দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে স্বাগতিক রাশিয়া।
শেষ ষোলোতে উরুগুয়ে খেলবে পর্তুগালের (গ্রুপ বি’ এর রানার আপ) বিপক্ষে আর রাশিয়ার প্রতিপক্ষ স্পেন (গ্রুপ বি চ্যাম্পিয়ন)
গ্রুপ বি – চূড়ান্ত
সমান পয়েন্ট ও সমান গোল ব্যবধান থাকলেও বেশী গোল করায় গ্রুপ চ্যম্পিয়ন হিসেবে পর্তুগালকে পেছনে ফেলে পরের পর্বে উঠেছে স্পেন।
শেষ ষোলোতে স্পেন খেলবে রাশিয়ার বিপক্ষে আর পর্তুগালের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে।
গ্রুপ সি – চূড়ান্ত
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরের পবে উঠেছে ফ্রান্স। এই গ্রুপের দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন ডেনমার্ক।
নক আউট পর্বে গ্রুপ ডি’র রানার আপ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলবে ফ্রান্স। আর ডি গ্রুপের শীর্ষ দল ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে ডেনমার্ক।
গ্রুপ ডি – চূড়ান্ত
আইসল্যান্ডকে হারিয়ে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে নক আউট পর্বে উঠেছে ক্রোয়েশিয়া।
নাটকীয়ভাবে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় হয়েছে আর্জেন্টিনা।
গ্রুপ ই
সার্বিয়ার বিপক্ষে ড্র করলেই নক আউট পর্ব নিশ্চিত হবে ব্রাজিলের।
ব্রাজিল আর সুইজারল্যান্ড একই ব্যবধানে নিজ নিজ ম্যাচে জয় পেলে গ্রুপ সেরা নির্ধারিত হতে পারে কার্ডের হিসেবে: ব্রাজিলের হলুদ কার্ড তিনটি, সুইজারল্যান্ডের চারটি। দুই দল যদি একই ব্যবধানে হেরে যায় তাহলে দ্বিতীয় স্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রেও বিবেচনায় আসবে কার্ডের হিসেব।
ব্রাজিল সার্বিয়াকে হারালে কোস্টারিকার সাথে ড্র করলেই পরের পর্ব নিশ্চিত হবে সুইজারল্যান্ডের।
সুইজারল্যান্ডে এক গোলে হারলে এবং সার্বিয়া ড্র করলে দ্বিতীয় স্থান নির্ধারিত হবে কারা বেশী গোল করেছে সেই ভিত্তিতে। সেই হিসেবে দুই দল সমান হলে সুইজারল্যান্ড পরের পর্বে যাবে কারণ তারা সার্বিয়াকে গ্রুপ ম্যাচে হারিয়েছে।
ব্রাজিলকে হারালে পরের পর্বে যাবে সার্বিয়া। সুইজারল্যান্ড এক গোলের বেশী ব্যবধানে কোস্টারিকার কাছে হারলে ড্র করলেই নিশ্চিত হবে সার্বিয়ার পরের পর্ব।
গ্রুপ এফ
সুইডেনের বিপক্ষে এক পয়েন্ট পেলেই গ্রুপসেরা হয়ে পরের পর্বে যাবে মেক্সিকো। দক্ষিণ কোরিয়াকে জার্মানি হারাতে না পারলে নিজেদের ম্যাচ হারলেও নক আউট রাউন্ড নিশ্চিত হবে মেক্সিকোর।
তিন ম্যাচ শেষে জার্মানির চেয়ে সুইডেনের গোল ব্যবধান বেশী হলে সুইডেন পরের পর্বে উঠবে নিশ্চিতভাবে। অর্থাৎ জার্মানি যেই ব্যবধানে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারাবে তার চেয়ে বেশী ব্যবধানে মেক্সিকোর বিপক্ষে জয় পেলে নিশ্চিত হবে সুইডেনের পরের পর্ব।
দুই বা তার চেয়ে বেশী গোল ব্যবধানে জিতলে জার্মানি জার্মানির পরের পর্ব নিশ্চিত হবে।
জার্মানি আর সুইডেন নিজেদের ম্যাচে ড্র করলে বেশী গোল করা দল দ্বিতীয় হবে পরের পর্বে উঠবে। গোল করার হিসেব সমান হলে জার্মানি পরের পর্বে যাবে কারণ তারা সুইডেনকে হারিয়েছে।
সুইডেন তাদের ম্যাচে হারলে জার্মানিকে হারিয়ে পরের পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে দক্ষিণ কোরিয়ারও। তবে সেক্ষেত্রে তাদের সুইডেন ও জার্মানির চেয়ে বেশী গোল ব্যবধান নিশ্চিত করতে হবে।
গ্রুপ জি
ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম এরই মধ্যে পরের পর্ব নিশ্চিত করেছে। তবে দুই দলেরই গোল ব্যবধান ও গোল করার হিসেব সমান।
ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামের ম্যাচ ড্র হলে গ্রুপসেরা নির্ধারিত হবে কার্ডের হিসেবে। ইংল্যান্ডের হলুদ কার্ড দু’টি ও বেলজিয়ামের তিনটি।
কার্ডের হিসেবেও দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে ড্র’য়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে গ্রুপের র্যাঙ্কিং।
গ্রুপ এইচ
পোল্যান্ড ও কলম্বিয়ার সাথে নিজেদের শেষ ম্যাচে ড্র করলেই পরের পর্ব নিশ্চিত হবে জাপান আর কলম্বিয়ার।
সেনেগালকে হারালে পরের পর্ব নিশ্চিত হবে কলম্বিয়ার। কলম্বিয়া জিতলে পোল্যান্ডের সাথে ম্যাচ হেরেও পরের পর্বে যেতে পারবে জাপান, তবে সেক্ষেত্রে সেনেগালের চেয়ে কম গোল ব্যবধানে হারতে হবে তাদের। আর জাপান হারলে গোল ব্যবধানের হিসেবে ড্র করেও পরের রাউন্ড নিশ্চিত করার সুযোগ থাকবে কলম্বিয়ার সামনে।