গোপনে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রাশিয়া: ব্রিটিশ সেনাপ্রধান

আন্তর্জাতিক  ডেস্ক:: আগামী মাসে ব্রাসেলস সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জুলাইয়ের ১১ তারিখ ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে তার এবারের ব্রাসেলস যাত্রা। সফরের মধ্যে কোনো একসময় ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

অার ওই গুঞ্জনের মধ্যেই সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ব্রিটিশ সেনাপ্রধান জেনারেল মার্ক কার্লেটন-স্মিথ এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে, রাশিয়া গোপনে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটি গোপনে বিশালসংখ্যক সৈন্যকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছে। একই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিমন্ত্রী মার্ক ল্যাঙ্কেস্টারও।

যুক্তরাজ্য সরকারের একটি সূত্র ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টাইমসকে জানিয়েছে, জুলাইয়ের ১১ তারিখ ন্যাটো সম্মেলনের আগে বা ন্যাটো সম্মেলনের পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফরের পরপর পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। পুতিন-ট্রাম্প সম্ভাব্য এ বৈঠকটি ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত হতে পারে বলেও জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকারের ওই সূত্রটি।

ট্রাম্পের ব্রাসেলস ও যুক্তরাজ্য সফরের প্রাক্কালে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের এ খবরটি অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। এ সপ্তাহেই নতুন ব্রিটিশ সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মার্ক কার্লেটন-স্মিথ। সেনাপ্রধান হওয়ার পর জনসম্মুখে দেওয়া প্রথম ভাষণেই রাশিয়াকে ‘অস্তিত্বের জন্য হুমকি’ উল্লেখ করে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।

নতুন সেনাপ্রধান মার্ক কার্লেটন-স্মিথ বলেন, ‘রাশিয়া ক্রমাগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে আছে তাদের ক্রমবর্ধমান সমরাস্ত্র ও দূর পাল্লার নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র।’

রাশিয়া যুক্তরাজ্যের জন্য হুমকি নয়, এমনটা ভাবা ভুল হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।

রাশিয়াকে জবাব দেওয়ার জন্য গতানুগতিক পথে হাঁটার বাইরে ‘সাইবার আর্মি’ গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন জেনারেল মার্ক।

এদিকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিমন্ত্রী মার্কি ল্যাঙ্কেস্টারও বলেছেন, রাশিয়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

লন্ডনে অনুষ্ঠিত র‌য়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউটের এক বার্ষিক সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখনো জানি না তারা (রাশিয়া) যুদ্ধকে অবশ্যম্ভাবী হিসেবেই ধরে নিয়েছে কি না, কিন্তু তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে একজন সাবেক রুশ গোয়েন্দাকে নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এ ঘটনার জন্য রাশিয়াকে সরাসরি দায়ী করেছেন। শুধু রাশিয়াকে দায়ী করেই ক্ষান্ত থাকেননি থেরেসা মে, বরং কূটনৈতিকভাবে রাশিয়াকে বাকি বিশ্ব থেকে আলাদা করতেও সচেষ্ট আছেন তিনি। কিন্তু পুুতিন-ট্রাম্প বৈঠকটি যদি শেষ পর্যন্ত হয়ে যায়, তাহলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে থেরেসা মের পদক্ষেপগুলো ভেস্তে যেতে পারে।

কমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *